Last Updated on [modified_date_only] by Anustup Roy Barman
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এই অভিযানটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি সম্পূর্ণ মহিলা দলের প্রথম আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত সমুদ্র নৌযান অভিযানের সূচনা করে (All-Women Sailing Expedition team returns)।
ঘরে ফেরা (All-Women Sailing Expedition team returns)
একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করে দেশে ফিরে এল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বমহিলা পালতোলা অভিযানের দল (All-Women Sailing Expedition team returns)। ২০২৫ সালের ৪ জুন, প্রায় ১,৮০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করে সেশেলস থেকে ফিরলেন এই সাহসিনী নাবিকেরা। এই অভিযান শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল। এটি ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রথম আন্তর্জাতিক, খোলা সমুদ্রে সর্বমহিলা নৌযাত্রা।
অভিযান শেষে আনুষ্ঠানিক সম্বর্ধনা (All-Women Sailing Expedition team returns)
মুম্বাইয়ে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে রমেশ এই মিশনের আনুষ্ঠানিক ‘ফ্ল্যাগ-ইন’ করেন (All-Women Sailing Expedition team returns)। তিনি এই মিশনকে নারীদের অংশগ্রহণে অপারেশনাল সক্ষমতার এক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন। মহিলা অফিসারদের সাহস, দক্ষতা ও সংকল্পের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সশস্ত্র বাহিনীতে নারীর অবদান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
‘ত্রিবেণী’তে দুই মাসের রোমাঞ্চকর অভিযান
ভারতে তৈরি ৫৬ ফুট দীর্ঘ পালতোলা ইয়ট ‘ত্রিবেণী’তে এই অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার ১১ জন মহিলা অফিসার প্রায় দু’মাস ধরে সমুদ্রের কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। ক্রুদের লড়াই করতে হয়েছে ট্রপিক্যাল ঝড়, উত্তাল সমুদ্র এবং দারুণ ক্লান্তির সঙ্গে। তবু তাঁরা অসাধারণ ধৈর্য এবং অবিচল সংকল্পে অভিযান সফল করেন।
আরও পড়ুন: Meghalaya: মেঘালয়কাণ্ডে বাড়ছে রহস্য; নিখোঁজ হওয়ার আগে শাশুড়িকে কী বলেছিলেন সোনম?
অভিযানকারী মহিলা অফিসারদের তালিকা
ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে: লেফটেন্যান্ট কর্নেল অনুজা, মেজর করমজিত, মেজর তনয়া, ক্যাপ্টেন ওমিতা, ক্যাপ্টেন দাউলি এবং ক্যাপ্টেন প্রজক্তা।
ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে: লেফটেন্যান্ট কমান্ডার প্রিয়াঙ্কা।
ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে: স্কোয়াড্রন লিডার বিভা, শ্রদ্ধা, আরুভি এবং বৈশালি।
সেশেলসে কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা স্তরের আলোচনায় অংশগ্রহণ
সেশেলসে থামার সময়, এই মহিলা ক্রু অংশ নিয়েছিলেন একাধিক উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বৈঠকে। তাঁরা সাক্ষাৎ করেন সেশেলসের বিদেশ মন্ত্রী, কম্বাইন্ড ডিফেন্স স্টাফের প্রধান এবং সেশেলসে ভারতের হাই কমিশনারের সঙ্গে। এই বৈঠকগুলি ভারত ও সেশেলসের মধ্যে সমুদ্র কূটনীতি ও কৌশলগত সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে।
নারী শক্তির উদযাপন ও তিন বাহিনীর সমন্বয়
এই অভিযান শুধু একটিমাত্র নৌ সাফল্য নয়। এটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে ‘নারী শক্তি’র গৌরবময় প্রতিচ্ছবি। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বায়ুসেনার অসাধারণ সমন্বয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
যেখানে ভারত সমুদ্রভিত্তিক শক্তি ও উপস্থিতি বাড়াতে তৎপর, সেখানেই এই সফল আন্তর্জাতিক অভিযান একদিকে যেমন বাহিনীর কৌশলগত দূরদৃষ্টি তুলে ধরে, তেমনই সাম্যতা ও শ্রেষ্ঠত্বের অঙ্গীকারকেও দৃঢ় করে। আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতের সাহসিনী নারী যোদ্ধারা – উত্তাল সমুদ্র পেরিয়ে যাঁরা দেশকে এনে দিলেন গর্ব।
