ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াকফ ইস্যুতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলকে বড় সমাবেশ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ নভেম্বর রানি রাসমনি রোডে এই সভা করতে সেলের চেয়ারম্যান তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারাফ হোসেন এই সভা করবেন। বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন বিধায়ক।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় তৃণমূল। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে তুলকালামের পর, এবার বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে রাজ্যের শাসকদল। শুক্রবার সর্বদল বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্রের ওয়াকফ বিলকে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ওয়াকফ বিলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার মেরুকরণের চেষ্টা করছে। এই নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে ওয়াকফ ইস্যুতে পথে নামছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৩০ নভেম্বর রানি রাসমনি রোডে এই সভা করবেন বলে জানিয়েছেন ইটাহারের বিধায়ক মোশারাফ হোসেন।
অন্যদিকে, সোমবার থেকে শুরু হল বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে এই প্রথম বিধানসভার অধিবেশনে ছিলেন। তবে প্রথম দিনের সভা সেই অর্থে নিরুত্তাপই ছিল। তবে আগামী দিনে উত্তাপ যে বাড়তে পারে তার ইঙ্গিত মিলেছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, এ বার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আর তাল মিলিয়ে চলবে না তারা। গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে শাসকদলের বিধায়ক যখন রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গেয়েছিলেন, তখন উঠে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। এ বার বিজেপি সেই সৌজন্য যে দেখাবে না, তার ইঙ্গিত মিলেছে। বরং ওয়াকফ সংশোধনী বিল, নতুন ছয় বিধায়কের শপথগ্রহণের মতো বিষয়ে মমতার সরকারের বিরোধিতার পথে হাঁটবে তারা।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/partha-chatterjee-bail-case-went-to-calcutta-high-court-third-bench/
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/two-people-allegedly-arrested-by-stf-due-to-allegation-of-firearms-carring-issue/
বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ সোমবার বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে স্থির হয়েছে, বিধানসভার এই অধিবেশনে নতুন বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হলে সেখানে বিজেপি বিধায়কেরা থাকবেন না। এখন দেখার বিধানসভার অন্দরের এই জল কতদূর গড়ায়!