ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দৃশ্যত বিরক্ত হতে দেখা যাচ্ছে (Trump and Reporter), তিনি প্রতিবেদকের দিকে অসম্মতিসূচক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন এবং ভ্রু কুঁচকে তাকাচ্ছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনা (Trump and Reporter)
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এক সাংবাদিকের বুম মাইকের আঘাতে বিরক্ত হন (Trump and Reporter)। ঘটনাটি ঘটে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে একটি ব্রিফিং চলাকালীন, যেখানে সাংবাদিক অত্যাধিক উৎসাহী হয়ে দুর্ঘটনাবশত মাইক্রোফোনটি ট্রাম্পের মুখে ঠেকিয়ে দেন।
ট্রাম্পের বিরক্তি, রাগান্বিত দৃষ্টি (Trump and Reporter)
ঘটনার একটি ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে (Trump and Reporter)। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, ট্রাম্প বিরক্তিভরে রিপোর্টারকে রূঢ় দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন এবং ভ্রু উঁচিয়ে অবিশ্বাস প্রকাশ করছেন। ওই সময় ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসি থেকে রওনা হওয়ার আগে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই একটি মাইক্রোফোন তার মুখে ধাক্কা দেয়, যার ফলে তিনি স্পষ্টতই বিরক্ত হন।
“আজ রাতেই সে খবরের শিরোনাম হল” – ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্প, যিনি প্রতিক্রিয়ায় সবসময় দ্রুত, ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, “সে আজ রাতের খবর হয়ে গেল, বড় খবর হয়ে গেল”। ট্রাম্প তার অসন্তোষ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেন। “এটা দেখেছ?” তাকে অবিশ্বাসের হাসিতে বলতে শোনা যায়।
ভিডিও ভাইরাল, নানান প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ট্রাম্পের অভিব্যক্তি নিয়ে অসংখ্য মিম তৈরি হয় এবং অনেকেই বিষয়টি মজার বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: US Sanction: আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ৪১ দেশের নাগরিকদের! কোন কোন দেশ রয়েছে তালিকায়?
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম
ঘটনাটি নিয়ে এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব উঠে আসে। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “মাইক্রোফোনে বিষাক্ত পদার্থ যেমন অ্যানথ্রাক্স বা ফেন্টানাইল থাকতে পারে, বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। যদি ট্রাম্প পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রহস্যজনকভাবে মারা যান, তাহলে আমি দোষ দেব ওই মাইক্রোফোন বহনকারীকেই।”
আরও পড়ুন: ISIS Chief: নিখুঁত নিশানা! মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে খতম ISIS-এর বড় মাথা
সম্প্রতি ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে ফেন্টানাইল পাচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন। অন্য এক ব্যক্তি লেখেন, “আসলে বিষয়টি তদন্ত করা উচিত। মাইক্রোফোনে বিষ থাকতে পারে। হাস্যকর মনে হলেও কিছু বলা যায় না।”
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লরা লুমার
রাজনৈতিক কর্মী ও ট্রাম্প সমর্থক লরা লুমার এক্স-এ পোস্ট করেন, “কীভাবে একজন রিপোর্টার ট্রাম্পের মুখের এত কাছে মাইক্রোফোন নিয়ে যেতে পারল? এটি স্বাভাবিক নয়। নিরাপত্তা আরও কঠোর করা উচিত।”