ট্রাইব টিভি ডিজিটাল বাংলা: গাজ়ায় কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Trump on Gaza)। তিনি এর আগে ইজ়রায়েল ও প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ কমিয়ে আনা ও যুদ্ধবিরতি ঘটিয়ে শান্তি স্থাপনের দিকে এগিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো গাজ়ায় বন্দি রয়েছেন বহু ইজ়রায়েলি নাগরিক। সেই ইজ়রায়েলি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে একাধিক বার সরব হয়েছে ইজ়রায়েল সরকার। কিন্তু তার পরেও ইজ়রায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দেয়নি প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস।
বন্দি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি (Trump on Gaza)
যেকোনো যুদ্ধের যুদ্ধবিরতির কিন্তু নিয়ম রয়েছে (Trump on Gaza)। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংগঠন জাতিসংঘের কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়মেরও উল্লেখ রয়েছে। সেখানে যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক শর্ত হল যুদ্ধে বন্দি দুই দেশের নাগরিকদের মুক্তি দিয়ে নিজের দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি সঠিক ও নিরপেক্ষ ভাবে দুই দেশের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ইজ়রায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কথা উঠলেই যুদ্ধে বন্দি ইজ়রায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে নারাজ প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি (Trump on Gaza)
গাজ়ায় বন্দি ইজ়রায়েলিদ নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিল আমেরিকা (Trump on Gaza)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজ়ায় বন্দি ইজ়রায়েলিদ নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে। সেই সময়সীমা পেরোলে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। হামাস সম্প্রতি ঘোষণা করে পরবর্তী ঘোষণা না-হওয়া পর্যন্ত তারা ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি স্থগিত রাখছে। তার পরেই বন্দিমুক্তি নিয়ে নিজের ধৈর্যচ্যুতির কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: US Tariff Conflict: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাল্টা চাপ, আমেরিকার পণ্যেও বসবে শুল্ক
শনিবারের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে
সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে যদি সব বন্দি ফিরে না আসেন, তবে আমি বলব ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাতিল করতে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারির পরেই অনেক গুলো প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কী আবারও অশান্ত হবে মধ্যপ্রাচ্য?হামাসের উদ্দেশে তোপ দেগে ট্রাম্প বলছেন, “এ বার নরক নেমে আসবে।”অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেকগুলি ইঙ্গিত।মনে করা হচ্ছে, পরোক্ষভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসের বিরুদ্ধে ফের যুদ্ধ ঘোষণা করার ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন।

জর্ডন এবং মিশরকে সাহায্য বন্ধ
হামাসের বিরুদ্ধে আমেরিকা প্রত্যাঘাত করবে করবে কি না, এই প্রশ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে করা হলে উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “হামাসই বুঝে নিক, আমি শনিবার দুপুর ১২টা বলতে কী বুঝিয়েছি।” সংবাদ সংস্থা রিপোর্টে দাবি, জর্ডন এবং মিশরকে সাহায্য পাঠানো বন্ধ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ট্রাম্প।এই দুই দেশের বিরুদ্ধে তাঁর রাগের কারণ, তারা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব মতো গাজার প্যালেস্টাইনিদের নিজেদের দেশে ঠাঁই দিতে চাইছে না।