ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইজ়রায়েল হামাস যুদ্ধে প্রায় দেড় বছর ধরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য (Trump on Israel)। বর্তমানে ইজ়রায়েল হামাস দুইদেশের সম্মতিতে যুদ্ধ বিরতি চলছে। ইতিমধ্যেই যুদ্ধ বন্দিদের ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে এরই একাধিক বার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আমেরিকার বিরুদ্ধে। এবার বিশাল ওজনের বোমা সরবরাহের অনুমতি দিল ট্রাম্প সরকার। যে বোমা সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাইডেন সরকার। নতুন করে বোমা সরবরাহের অনুমতি দেওয়ায় আবারও যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
২০০০ পাউন্ডের বোমা (Trump on Israel)
আমেরিকার নির্বাচনের সময়ে ট্রাম্প প্রচারে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে বাইডেন সরকার যুদ্ধের জন্য যে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেন সেটা তিনি করবেন না (Trump on Israel)। বরং সেই অর্থ তিনি আমেরিকানদের উন্নতির জন্য খরচ করবেন। এবার সেই ট্রাম্পই ইজ়রায়েলকে ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা সরবরাহ করার অনুমতি দিল। যে বোমা সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়ে পুনরায় বিশাল ওজনের বোমা সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে ট্রাম্প সরকার।
শুরু হয়েছে বোমা সরবরাহ (Trump on Israel)
জানা গেছে, ইজ়রায়েলে শুধু ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা সরবরাহের অনুমতি দেওয়াই নয়, ইতিমধ্যেই ইজ়রায়েলের হাতে সেই বোমা তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে (Trump on Israel)। আর এই ঘটনাকে ঘিরে আবার যুদ্ধের জুজু দেখছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: Rushdie on Musk: ‘মঙ্গলে চলে যান মাস্ক’! টেসলার মালিকের বিরুদ্ধে সরব সালমান রুশদি
সংঘর্ষে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামাস হামলা চালায়। তারপর থেকে একের পর এক সংঘর্ষ চলতে থাকে দু’পক্ষের মধ্যে। ধীরে ধীরে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ ভয়ানক আকার নিয়েছিল। ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনে বহু মানুষের মৃত্যু হয় এই সংঘর্ষে। পাশাপাশি দুই দেশের বহু সম্পদের ক্ষতি হয়। সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয়, তাই ২০০০ পাউন্ড অর্থাৎ ৯০০ কেজি ওজনের বোমা সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আরও পড়ুন: China to US: তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার অবস্থান পরিবর্তন বাড়াল চীনের ক্ষোভ
ট্রাম্পের সবুজ সঙ্কেতে বিপদের আশঙ্কা
বিশাল বোমা সরবরাহের সবুজ সঙ্কেত দিতেই আবার নতুন করে বিপদের আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে কি আবারও উত্তপ্ত হতে পারে মধ্যপ্রাচ্য? দু’দেশের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতি চলছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবন্দিদের ফেরানোর প্রক্রিয়াও জারি। তবে এই পরিস্থিতি কত দিন চলবে, তা নিয়ে অনেকের মনে নতুন করে প্রশ্ন জাগছে। যদিও ইতিমধ্যেই হামাসকে সতর্ক করেছেন ইজ়রায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান নেতানিয়াহু। তাই নতুন করে আবার যে সংঘর্ষ শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে আশঙ্কাও করছেন অনেকে। আর সেই আশঙ্কাকে বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইজ়রায়েলকে আমেরিকার বোমা সরবরাহে ট্রাম্পের ছাড় দেওয়ার ঘটনা।