ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের কথা ছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Trump-Putin Call)। পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য না কি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কে। এই ফোনালাপে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবেও সায় দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই ফোনালাপের ঘটনা সামনে আসতেই দুনিয়া জুড়ে শুরু হয়ে গেছে হইচই।
পুতিন জন্য দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা ট্রাম্পের (Trump-Putin Call)
গত ১৮ মার্চ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে প্রথমবার পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump-Putin Call)। কিন্তু, একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের জন্য নির্ধারিত সময়ে টেলিফোনের সামনে উপস্থিতই ছিলেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এজন্য রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ইচ্ছাকৃত অপেক্ষা করিয়েছেন পুতিন (Trump-Putin Call)
পুতিনের সঙ্গে এই ফোনালাপে ট্রাম্পকে অপেক্ষা করানো বিষয়টি মোটেই ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা (Trump-Putin Call)। ইতিমধ্যেই কিছু মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা ছড়িয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে ট্রাম্পকে অপেক্ষা করিয়েছেন পুতিন। সেদিন বিকাল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মস্কোয় শিল্পপতিদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেই সময় পুতিনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের কথা মনে করিয়ে দিলে বিষয়টিকে একেবারেই আমল দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট। শিল্পপতিদের আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান শেষ করে পুতিন ক্রেমলিনের প্রাসাদে ফিরে ফোন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন পুতিন।

আরও পড়ুন: Eliminate Education Department: অপ্রয়োজনীয়! শিক্ষা দফতর তুলে দিচ্ছে দেশের সরকার
দেরি হলেও বিচলিত নয় পুতিন
রুশ শিল্পপতিদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনার মধ্যে এক জন উদ্যোগপতি ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার বিষয় মনে করিয়ে দেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। এর প্রতিক্রিয়ায় পুতিন মৃদু হেসে কাঁধ ঝাঁকিয়ে বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। আবারও দ্বিতীয়বার পুতিনকে ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে তার পর ক্রেমেলিনে নিজের বাসভবনে ফিরে যান পুতিন। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকেল ৫টার পর নিজের বাসভবনে ফিরে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত হন পুতিন। যখন নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু, এতেও কোনো তড়িঘড়ি ছিল না পুতিনের, ধিরে শান্তভাবে নিজের অফিসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: Sunita Williams: সুনীতারা একা নয়, মহাকাশে আটকে ছিলেন আরও অনেকে! দীর্ঘ মহাকাশে থাকার রেকর্ড কার?

পুতিনের শর্ত
প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয় দুই ‘সুপার পাওয়ার’ দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে। কিন্তু, সেখানেও ট্রাম্প খুব বড় সাফল্য পাননি। জানা গেছে আলোচনার শুরুতেই ইউক্রেনে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দেন পুতিন।সাথে যুদ্ধ বিরতির জন্য বেশ কিছু কঠিন শর্তও দেন তিনি। এতে উল্টে ট্রাম্পই প্যাঁচে পড়েছেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।আমেরিকা-সহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলি ইউক্রেনকে সামরিক এবং আর্থিক সাহায্য পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। এই শর্তে ওয়াশিংটনের সম্মতি থাকলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি বা পোল্যান্ড কতটা মানবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফলে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আরও জটিল হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।