ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুনির (Trump to meet Munir) তার মার্কিন সফরে বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সাথেও দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আমেরিকায় সরকারি সফরে আছেন আসিম মুনির (Trump to meet Munir)
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির (Trump to meet Munir) বর্তমানে সরকারি সফরে আমেরিকায় রয়েছেন। এই সফরের মধ্যেই বুধবার হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে বসবেন তিনি। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা। এই খবর প্রকাশ্যে এল কয়েকদিন পরেই, যখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, আমেরিকার সেনাবাহিনীর ২৫০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মুনিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
পাক সংবাদপত্র ‘ডন’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আসিম মুনির তাঁর এই সফরে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ-এর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
কেন পাকিস্তানকে প্রয়োজন আমেরিকার? (Trump to meet Munir)
এই বৈঠক এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ইজরায়েল-ইরান সংঘাত আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে (Trump to meet Munir)। পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের স্থলসীমান্ত রয়েছে, এবং এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান যুদ্ধক্ষেত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে। যদি আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে নামে, তাহলে পাকিস্তানের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Fattah-1: ইজরায়েলে ফের হাইপারসনিক মিসাইল হামলা ইরানের, খামেনির নির্দেশ “দয়া দেখাবে না”
ইতিমধ্যে ইসলামাবাদ তাদের আকাশপথ ও স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ইরানের সঙ্গে। এর ফলে ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় বহু মানুষ আটকে পড়েছে। বিশেষ করে বালুচিস্তানের গাব্দ-রিমদান ও চাঘি জেলার তাফতান সীমান্তপথগুলো বন্ধ হওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, রবিবার থেকেই এই সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। এতে বালুচিস্তানের কিছু জেলায় খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, কারণ সেসব জায়গায় ইরান থেকেই জিনিসপত্র পাচার হয়ে আসে।
পাঁচ দিনের দ্বিপাক্ষিক সফর
ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান রবিবার আমেরিকায় পৌঁছেছেন পাঁচ দিনের এক দ্বিপাক্ষিক সরকারি সফরে। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হল আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা।
আরও পড়ুন: F-14: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা! ইরানের এফ-১৪ যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েল
তবে আমেরিকায় মুনিরের এই সফরকে ভালো চোখে দেখেননি বহু পাকিস্তানি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ওয়াশিংটনে তাঁর হোটেলের সামনে এবং পাকিস্তান দূতাবাসের আশেপাশে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সমর্থকরা এই বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁরা স্লোগান দেন — “আসিম মুনির, তুমি কাপুরুষ”, “লজ্জা লজ্জা, গণহত্যাকারী”, “ডিকটেটরের লজ্জা হওয়া উচিত”, এবং “পাকিস্তানিদের খুনি”।
যুদ্ধপরবর্তী প্রথম সফর
এটা পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের প্রথম আমেরিকা সফর, পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা বাড়ার পরে। ওই হামলায় ২৬ জন সাধারণ পর্যটক নিহত হন। পরে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, এবং সংঘর্ষ থামে। সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগ করে এই যুদ্ধবিরতি করাতে সাহায্য করেছেন। যদিও ভারত এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছিল।