ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ ৩০ জুলাই, মঙ্গলবার (Tsunami in Japan)। রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়েছে জাপানের উপকূলবর্তী এলাকায়। বিশেষ করে জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কা। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ইশিনোমাকি বন্দরে সুনামির প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
জাপানের দক্ষিণ উপকূল পর্যন্ত সুনামি (Tsunami in Japan)
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৮ (Tsunami in Japan)। রাশিয়ার পূর্ব কামচাটকা উপদ্বীপে উৎপন্ন এই ভূমিকম্পের কিছুক্ষণের মধ্যেই সুনামি আছড়ে পড়ে রাশিয়ার বিভিন্ন উপকূলে। একইসঙ্গে প্রভাব পড়ে জাপানেও। পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে, কারণ জাপানের দক্ষিণ উপকূল পর্যন্ত সুনামি ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু (Tsunami in Japan)
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জাপান সরকার ইতিমধ্যেই (Tsunami in Japan) উপকূলীয় এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা জানিয়েছেন, তিনি গোটা পরিস্থিতির উপর সরাসরি নজর রাখছেন এবং এক জরুরি কমিটিও গঠন করা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য।
ব্যাহত জাপানের পরিবহণ পরিষেবা
এদিকে, সুনামির কারণে ব্যাহত হয়েছে জাপানের পরিবহণ পরিষেবা। হোনশু দ্বীপের উত্তরে হোক্কাইডো ও আওমোরি প্রদেশের মধ্যে ফেরি চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি রাজধানী টোকিও এবং আশপাশের দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সংযোগকারী ফেরিগুলিও আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Amabasya Astrology: অমাবস্যার পর থেকেই অসুবিধায় এই রাশির জাতকরা!
একাধিক রুটে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ
ট্রেন পরিষেবাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। একাধিক রুটে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ এবং কিছু রুটে চলছে বিলম্বে। সেন্দাই বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, এই সুনামির ঢেউ এখনও খুব ভয়ঙ্কর উচ্চতায় পৌঁছায়নি, তবে সতর্কতা থাকছে কারণ পরিস্থিতি যে কোনও সময় আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

সুনামির সতর্কতা জারি
চিন, পেরু ও ইকুয়েডরেও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সুনামির প্রভাব কেবল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আরও বিস্তৃত এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে জাপানের উপকূলীয় মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দলগুলিও প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনে দ্রুত মোতায়েন করার জন্য।