ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সরকার বলেছে (Turkish Drones) যে “এই বৃহৎ আকারের আকাশপথে অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য ছিল AD সিস্টেম পরীক্ষা করা এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা।”
ড্রোন হামলার বিশদ বিবরণ (Turkish Drones)
ভারতীয় সরকার শুক্রবার জানিয়েছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৮ মে রাতে ভারতীয় শহরগুলিতে হামলার জন্য তুর্কি-নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করেছে (Turkish Drones)। প্রাথমিক ফরেনসিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ধ্বংস হওয়া ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষে তুর্কি নির্মিত “আসিসগার্ড সংগার” মডেলের ড্রোনের উপাদান পাওয়া গেছে, যা সাধারণত নজরদারি এবং নির্ভুল আঘাতের জন্য ব্যবহৃত হয়।
পাকিস্তানের আক্রমণ ও ভারতের প্রতিক্রিয়া (Turkish Drones)
উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং (Turkish Drones) জানান, “৮-৯ মে ২০২৫ এর রাতের মধ্যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের পশ্চিম সীমান্ত বরাবর একাধিকবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, যার উদ্দেশ্য ছিল সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করা।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান সেনাবাহিনী লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর ভারী ক্যালিবার অস্ত্রের গুলিবর্ষণও করেছে।”
আরও পড়ুন: Cyber Threat: পাকিস্তান থেকে হামলার আশঙ্কা, অনাকাঙ্ক্ষিত লিংকে ক্লিক না করার পরামর্শ
আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর, লেহ থেকে সির ক্রিক পর্যন্ত ৩৬টি স্থানে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন এবং অন্যান্য অ-ঘাতক পদ্ধতি ব্যবহার করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। সরকার জানিয়েছে, এই বৃহৎ পরিসরের আকাশ অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা।
ভারতের পাল্টা ব্যবস্থা
রাতের পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন পাকিস্তানের একটি সশস্ত্র ইউএভি (ড্রোন) ভাটিন্ডা সামরিক স্টেশনকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা করে, যা শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়। ভারত এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের চারটি বিমান প্রতিরক্ষা স্থানে সশস্ত্র ড্রোন পাঠায়, যার মধ্যে একটি ড্রোন একটি বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ক্ষয়ক্ষতি
সরকার আরও জানিয়েছে, সীমান্তে আগ্রাসন শুধুমাত্র ড্রোনে সীমাবদ্ধ ছিল না। পাকিস্তান সেনাবাহিনী লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর সুন্দার, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি, আখনুর এবং উধমপুর এলাকায় ভারী ক্যালিবার আর্টিলারি গান এবং সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে গোলাবর্ষণ চালায়, যার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য আহত হন।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের পাল্টা গুলিতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।