Last Updated on [modified_date_only] by Sumana Bera
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: খাস কলকাতার তপসিয়া থানার অন্তর্গত গোবরা গোরস্থান রোডে দুর্গাপুজোর চাঁদা ঘিরে ফের দাদাগিরির অভিযোগ (Puja Donation Assault) উঠেছে। অভিযোগ, ‘গোবরা উজ্জ্বল সঙ্ঘ’ ক্লাবের একাংশের সদস্যরা চাঁদা দিতে দেরি হওয়ায় লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দা অমিত সরকার ও তাঁর পরিবারকে। শুধু তাই নয়, পরিবারের মহিলাদের ওপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছে।
১০ হাজার টাকা চাঁদা, না দিলে হামলার হুমকি! (Puja Donation Assault)
অমিত সরকারের দাবি, তাঁর দোকান থেকে ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রথমে ৪ হাজার টাকা চাঁদা লিখিতভাবে চাওয়া হয়। পরে মৌখিকভাবে আরও ৬ হাজার টাকা দাবি করা হয়। মোট ১০ হাজার টাকা দিতে দেরি হওয়াতেই শুরু হয় গণ্ডগোল। প্রথমে তাঁর ভাইকে গালিগালাজ করে দুষ্কৃতীরা। এরপর অমিত নীচে নামলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী, ভাই ও বাবা।
হামলাকারীরা শাসকদলের আশ্রিত! (Puja Donation Assault)
অমিতের অভিযোগ, হামলাকারীরা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত। যদিও তিনি নিজেও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত এবং ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত উজ্জ্বল সঙ্ঘ ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন। বর্তমানে তিনি ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও রাজনীতিতে সক্রিয়। চাঁদা না দিলে বা ক্লাবের কথায় না চললে হুমকি এবং হামলার ঘটনা নতুন নয় বলেও অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন:karnataka: অবৈধ সম্পর্ক রক্ষায় মায়ের হাতে প্রাণ গেল শিশু কন্যার
এই ঘটনায় প্রথমে তপসিয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও, পুলিশ দীর্ঘক্ষণ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ (Puja Donation Assault)। আক্রান্তের স্ত্রী শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত থানায় বসে থেকেও এফআইআর করতে পারেননি। পরে অবশ্য অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল—
- দীপক দে ওরফে চায়না বাবু (৩৮) – বাসিন্দা ক্রিস্টোফার রোড, কলকাতা-৪৬
- রবিন ওরফে বিশাল (২৩) – বাসিন্দা গোবরা রোড, কলকাতা-৪৬
ধৃতরা ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইরে পালানোর চেষ্টা করার সময় ধরা পড়ে। তপসিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। আরও অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুজোর আবহে কলকাতায় ফের চাঁদাবাজির ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীদের একাংশের মতে, দুর্গাপুজোকে ঘিরে কিছু ক্লাব বরাবরই সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি করে চাঁদা আদায় করে থাকে। এবারের মতো এমন প্রকাশ্য দাদাগিরি পাড়ায় নিরাপত্তার অভাব তৈরি করছে।