অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: বাঁশদ্রোণীর ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার ২। ঘাতক পে লোডারের চালক এবং মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান, ডিসি সাউথ বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। ধৃত দু’জনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হল গাড়ির চালক শম্ভু রাম ও গাড়ির মালিক বিশ্বকর্মা শর্মা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত মালিকই পে লোডার চালককে পালাতে সাহায্য করেছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে পে লোডারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া। ঘটনার পরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী এলাকা। পুলিশকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ। স্থানীয় দুই কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বছরের পর বছর এভাবে খারাপ রাস্তা দিয়ে প্রাণ হাতে নিয়েই সবাইকে যাতায়াত করতে। কোনও কিছুতেই প্রশাসনের টনক নড়ে না। বারবার বলা সত্ত্বেও পাল্টায়নি রাস্তার চেহারা। আর এদিনের মর্মান্তিক ঘটনায় ঘিতে আগুন দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/tollywood-actress-rupsha-chatterjee-get-married-to-shayandeep/
ভাঙাচোরা রাস্তার মাঝখানে জলকাদার মধ্যে ওসিকে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, ঘটনার খবরে স্থানীয় কাউন্সিলরদের দেখা না পাওয়ায় আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। অন্যদিকে, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিসি বিদিশা বলেন, ”পে লোডারে চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় বাঁশদ্রোণী থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল ওই পে লোডারের চালকের খোঁজ শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দমদম এবং চিৎপুরের সীমানা থেকে দু’জনকে আটক করা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁদের জেরা করা হয়। জানা যায়, তাঁদের মধ্যে এক জন শম্ভু রাম। পে লোডার চালাচ্ছিলেন তিনিই। ওই পে লোডারের মালিক বিশ্বকর্মা শর্মাই ঘটনার পর চালককে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। চালককে লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ছিল। তাই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।”