ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ফের তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)-র বিরুদ্ধে বড়সড় সামরিক অভিযান শুরু করল পাকিস্তানের সেনা ও আধাসেনা বাহিনী (Two TTP commander killed)। বৃহস্পতিবার রাত থেকে লোয়ার দীর জেলার তিমেরগারা পাহাড়ে শুরু হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, টিটিপি-র দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা এই অভিযানে নিহত হয়েছেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান (Two TTP commander killed)
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আফগান সীমান্তের দায়িত্বে থাকা আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোর এবং পাক সেনার কমান্ডো ইউনিট যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে (Two TTP commander killed)। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন খারজি হাফিজুল্লা নামে এক টিটিপি কমান্ডার, যিনি অতীতে বহু প্রাণঘাতী হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার পরিস্থিতি অশান্ত (Two TTP commander killed)
টিটিপি ও পাকিস্তান সরকারের (Shehbaz Sharif) মধ্যে সম্পর্কে ফের ফাটল ধরে ২০২২ সালের নভেম্বরে, যখন শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায় এবং সংগঠনটি সরাসরি ‘যুদ্ধ’-এর ঘোষণা করে (Two TTP commander killed)। টিটিপি-র অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতির শর্ত ভেঙে পাকিস্তান সেনা ও সিটিডি (কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট)-এর যৌথবাহিনী আক্রমণ চালানোয় খাইবার পাখতুনখোয়ার পরিস্থিতি অশান্ত হয়েছে।

দফায় দফায় সংঘর্ষ (Two TTP commander killed)
এটি নতুন কিছু নয়। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে পাকিস্তান সরকার ও টিটিপি-র মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে শতাধিক নিরীহ শিশুকে হত্যা করে এই গোষ্ঠী, যা সারা বিশ্বে তীব্র নিন্দার ঝড় তোলে। ২০০৯ সালে পাকিস্তান সেনা ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজত’ নামে একটি বড়সড় সামরিক অভিযান চালিয়েও টিটিপিকে পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি।

আরও পড়ুন: Tahawwur Rana : ২৬/১১ মামলায় তাহাউর রানা জেরায় গোপন সাক্ষী এনআইএ-র তুরুপের তাস?
টিটিপি-র গোপন ঘাঁটি ধ্বংস (Two TTP commander killed)
টিটিপি-র গোপন ঘাঁটি ধ্বংস করতে পাকিস্তান মাঝে মাঝেই সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে বিমান হানা চালায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাক বায়ুসেনা আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালায়। ইসলামাবাদের দাবি অনুযায়ী, লক্ষ্য ছিল টিটিপি ঘাঁটি। কিন্তু আফগান তালিবান পাল্টা অভিযোগ তোলে, হামলায় বারমাল জেলার সাতটি গ্রামে মহিলা ও শিশুসহ অন্তত ৪৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন। এতে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছায়।
আমেরিকার ড্রোন হামলা (Two TTP commander killed)
টিটিপি প্রতিষ্ঠা করেন বায়তুল্লা মেহসুদ, যিনি ২০০০-এর দশকে আমেরিকার ড্রোন হামলায় নিহত হন (Two TTP commander killed)। তবে সংগঠনটির উগ্র ইসলামি আদর্শ, সীমান্ত এলাকার উপজাতিদের সমর্থন এবং তালিবানদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ফলে তাদের অস্তিত্ব এখনও স্পষ্ট। পাকিস্তান সেনার বহু অভিযানের পরেও তাদের কার্যকলাপ একেবারে থামেনি।বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর টিটিপি যেন নতুন করে সাহস পেয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে তারা ফের সংগঠিত হচ্ছে, নতুন করে হামলার ছক কষছে। এমন পরিস্থিতিতে পাক সেনার এই অভিযান ভবিষ্যতের নিরাপত্তা পরিকাঠামোকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তা সময়ই বলবে।