ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রান্নাঘরে তেল নেই, একথা যেন স্বপ্নেও ভাবা যায়না (Types of oil)। যতই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া হোক না কেন তেল তো একটু লাগবেই। তাছাড়া তেল শুধু খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি করে না, এটি আমাদের শরীরের জন্যও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমানে নানা ধরনের তেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। প্রকার বিশেষে প্রতিটি তেলের রয়েছে নিজস্ব গুণাগুণ ও স্বাস্থ্যগত সুবিধা। রান্না করার জন্য সঠিক তেল কেনা খুব জরুরি, কারণ এটি শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি সরবরাহ করে।
সর্ষের তেল (Types of oil)
ভারতীয় এবং বাংলাদেশিদের রান্নাঘরে এই তেলটি (Types of oil) থাকবেই। সর্ষের তেল অল্প পরিমাণমত খেলে তা খুব স্বাস্থ্যকর এবং এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। সাধারণত মাছ এবং মাংসের রান্না, বিভিন্ন রকম ভর্তা বানাতে এই তেল ব্যবহার করা হয়। ঠিকমত এই তেল খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে এবং এটি হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
সানফ্লাওয়ার অয়েল (Types of oil)
এই তেলটি সর্ষের তেলের তুলনায় হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য (Types of oil) হওয়ায় সানফ্লাওয়ার তেলকেই অধিকাংশ রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এতে থাকা ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে।
ক্যানোলা তেল (Types of oil)
এই তেলটি সাধারণত স্যালাড এবং সেদ্ধ খাবারে ছড়িয়ে খাবার জন্য আদর্শ। ক্যানোলা তেলে অত্যন্ত কম মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এটি কার্যকর।
আরও পড়ুন: Aamla Benefits: এক নিমেষেই করবে কামাল, রোজ ডায়েটে খান আমলকি
নারকেল তেল
সর্ষের তেল ও সূর্যমুখী তেলের তুলনায় নারকেল তেল বেশি স্বাস্থ্যকর। দক্ষিণ ভারতের মানুষ নারকেল তেলের রান্নাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এই তেলে লরিক অ্যাসিড থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এটি ত্বকের জন্যও খুব ভালো।
রাইস ব্র্যান অয়েল
ধানের তুষ থেকে এই তেল উৎপন্ন হয়। মূলত চালের গুঁড়ো থেকেই নানান প্রক্রিয়ার পর এই তেল তৈরী হয়। সর্ষের তেল ও সূর্যমুখীর তেলের চাইতেও এর পুষ্টিগুণ অনেকটা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী এই তেলই ভোজ্য তেলের মধ্যে সবথেকে ভালো। এই তেলে রয়েছে মনো আনস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভালো ফ্যাটের উৎস। এই তেল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এছাড়াও এই তেলে থাকা গামা ওরিজানল শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। এছাড়াও, এই তেলে আছে ভিটামিন A,D,E। যা হাড়কে মজবুত করতে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে রাইস ব্র্যান অয়েল
শুধু ভারতেই নয় জাপান, কোরিয়ার মত বিদেশে এই তেল ভীষণ জনপ্রিয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে এই তেল ‘হেলথ ফুড’ নামেও পরিচিত। কঞ্জিউমার ভয়েস ম্যাগাজিন-র তথ্য অনুযায়ী বিশেষ একটি সমীক্ষায় এই তেল গুনগত মানের বিচারে বিশেষ জায়গা দখল করেছে।
অলিভ অয়েল
বিশ্বের নানাম দেশে এই তেল খুব জনপ্রিয়। এটি বিশেষত মডারেট রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন স্যালাড ড্রেসিং। এই তেলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

মাখন এবং ঘি
এছাড়া, মাখন এবং ঘি ভারতীয় রান্নায় বহুল ব্যবহৃত হয়। যদিও এগুলোতে ফ্যাট থাকে। তবে ঘি আয়ুর্বেদিক দিক থেকে উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
উপকারিতা: তেল যত কম খাবেন তত ভালো, এই কথাটা কিন্তু পুরোপুরি সত্যি নয়। দেহের গঠনের জন্য তেল খুব উপকারী। কিন্তু পর্যাপ্ত তেল খাওয়া উচিত, তার বেশি একদম নয়।