Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের লেনিনগ্রাদ অঞ্চলে শুক্রবার ভোরে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন সেনা(Ukraine Drone Attack)। বাল্টিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত প্রিমোর্স্ক, যেটি রাশিয়ার (Putin) বৃহত্তম তেল বন্দর হিসেবে পরিচিত, সেখানেই এই হামলা ঘটে। স্থানীয় গভর্নর আলেকজান্ডার দ্রজদেনকো জানিয়েছেন, হামলায় দুটি তৈলবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বন্দর এলাকার একটি পাম্পিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে বড় ধাক্কা, কারণ এটি সরাসরি রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি ও অর্থনীতিকে টার্গেট করেছে।
‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ (Ukraine Drone Attack)
এর আগে চলতি বছরের ১ জুন ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার পাঁচটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে অভূতপূর্ব ড্রোন হামলা চালায়(Ukraine Drone Attack)। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’। কোয়াডকপ্টার শ্রেণির মোট ১১৭টি আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুর এলাকার বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। ইউক্রেন দাবি করেছিল, তাতে মস্কোর অন্তত ৪০টি কৌশলগত বোমারু ও নজরদারি বিমান ধ্বংস হয়। সেই ঘটনার পর এই প্রথমবার এত বড় ড্রোন হামলার মুখে পড়ল রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড।
এআই-চালিত ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার(Ukraine Drone Attack)
সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগের মতো এবারও ইউক্রেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ড্রোনে(Ukraine Drone Attack)। ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’-এ এআই ব্যবহারের ফলে রুশ বিমানঘাঁটির বোমারু বিমান নির্ভুলভাবে টার্গেট করা সম্ভব হয়েছিল। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করছে, প্রিমোর্স্ক হামলাতেও একই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। এআই-ভিত্তিক সিস্টেমের ফলে ড্রোনগুলো লক্ষ্যস্থল চিহ্নিত করতে এবং এড়িয়ে যাওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে।

আরও পড়ুন : Supreme Court : অয়ন শীলের জামিনের আবেদন খারিজ,৬ মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ (Ukraine Drone Attack)
এর আগে বাল্টিক সাগরের উস্ত-লুগা এবং কৃষ্ণ সাগরের নোভোরোসিস্ক বন্দরে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল ইউক্রেন, তবে সেগুলো রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছিল (Ukraine Drone Attack)। কিন্তু প্রিমোর্স্কে হামলার ঘটনায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ঘাটতির বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে এল। রাশিয়ার অন্যতম কৌশলগত তেল রপ্তানি বন্দর এত সহজে নিশানা হওয়া পুতিন প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : US Tariff War : ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি জট কাটতে পারে শীঘ্রই, ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের
ভবিষ্যতের ইঙ্গিত
ইউক্রেনের এই হামলা শুধু সামরিক নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও রাশিয়াকে বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, প্রিমোর্স্ক থেকে তেল রপ্তানি বন্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইউরোপ এবং এশিয়ার বাজারে সরবরাহে প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের লক্ষ্য এখন শুধু রুশ সেনা দুর্বল করা নয়, বরং তাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকেও চাপে ফেলা।