Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র (Unnatural Death) করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। নিহত এই ছাত্রী উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, প্রেমিকের সঙ্গে বচসার জেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। অন্যদিকে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওষুধের ওভারডোজেই মৃত্যু হয়েছে তার।
সামাজিক ভাবে বিয়ে করার পরামর্শ (Unnatural Death)
নিহত তরুণীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Unnatural Death)। তার নাম অনিন্দিতা সোরেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পুরুলিয়ার এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়া ছিলেন। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই দূর গড়িয়েছিল যে মেয়েটি অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। নিহতের মা দাবি করেছেন যে এই খবর জানতে পেরেই তারা তাকে সামাজিক ভাবে বিয়ে করার পরামর্শ দেন।
মেয়ের মৃত্যু সংবাদ (Unnatural Death)
মায়ের পরামর্শ মেয়ে মেনে নিলেও, প্রেমিককে রাজি করাতে পারছিলেন না (Unnatural Death) অনিন্দিতা। বারবার তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। উল্টে জানা যায়, পুরীর মন্দিরে তারা নাকি বিয়েও করেছিল। উল্টে প্রেমিক বলে গর্ভপাত করিয়ে নেবার কথা। সেখান থেকেই সম্পর্কের মাঝে আসে তিক্ততা। এরপরেই সামনাসামনি দেখা করার জন্য অনিন্দিতাকে মালদহের একটি হোটেলে ডেকে পাঠায় তার প্রেমিক। তিন-চার দিন আগে হোটেলেও যান তারা। এরপরই পরিবারের কাছে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ আসে।
মৃত ঘোষণা করে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসকেরা
অনিন্দিতার মা আল্পনাকে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ সেই ফোন আসে। হাসপাতালে গিয়ে দেখে মেয়ের মুখ থেকে এক নাগাড়ে সাদা গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে। তারপরেই অনিন্দিতাকে মৃত ঘোষণা করে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: Tamannaah Bhatia: নারীদের কাজকে ভয় পায় পুরুষরা! বিস্ফোরক বক্তব্য তামান্নার
পরিবারের দাবি, আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনাকে দেখে আত্মহত্যা মনে হলেও, তাদের মেয়ে কখনই এমন কাজ করতে পারে না। তাদের ধারণা, তাদের মেয়েকে জোর করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। প্রেমিকের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ এনেছে নিহত ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এখনও চলছে ঘটনার তদন্ত।