ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টিআরএফ হল পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা (UNSC monitoring report), যারা ২২ এপ্রিল পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে TRF-এর দায় স্বীকার (UNSC monitoring report)
পাকিস্তান পৃষ্ঠপোষিত সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের অবস্থান এবার কার্যত স্বীকৃতি পেল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে (UNSC monitoring report)। ISIL, আল-কায়দা এবং সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনদের উপর নজরদারির জন্য গঠিত ১২৬৭ স্যাংশন মনিটরিং টিম তাদের ৩৬তম রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সংঘটিত জঙ্গি হামলার দায় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা TRF স্বীকার করেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাঁচজন জঙ্গি পহেলগামে একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থানে হামলা চালায়। সেদিনই TRF হামলার দায় স্বীকার করে এবং ঘটনাস্থলের একটি ছবিও প্রকাশ করে। পরদিন TRF আবারও দায় স্বীকার করে। তবে ২৬ এপ্রিল তারা সেই দাবি প্রত্যাহার করে নেয় এবং এরপর আর কোনও সংগঠন দায় স্বীকার করেনি।
পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার যোগের উল্লেখ (UNSC monitoring report)
এই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে TRF পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন (UNSC monitoring report)। TRF-এর দাবি মুছে ফেললেও, একাধিক রাষ্ট্রের সূত্রে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই হামলা লস্করের সহায়তা ছাড়া সম্ভব ছিল না। TRF এবং লস্করের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। একটি রাষ্ট্র জানিয়েছে, TRF-ই এই হামলা চালিয়েছে এবং তারা কার্যত লস্করের সমার্থক। যদিও একটি রাষ্ট্র এই মতের বিরোধিতা করে বলেছে, লস্কর এখন কার্যত নিষ্ক্রিয়। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম লস্কর-ই-তৈবার নাম রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হলো।

সন্ত্রাস নিয়ে অঞ্চলে চরম উত্তেজনা
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান অঞ্চলের সম্পর্ক এখনো ভঙ্গুর। এই ধরনের উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে জঙ্গি সংগঠনগুলো নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এ মাসের শুরুতে আমেরিকা TRF-কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ‘বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: Dinner Date: কানাডায় একান্তে ডিনার ডেটে ক্যাটি পেরি ও ট্রুডো, প্রেমের গুঞ্জনে সরগরম
রাষ্ট্রসঙ্ঘে TRF-এর নাম বাদ দিল পাকিস্তান
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ আগে পহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা করেছিল। তারা হামলাকারী, সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিল। তবে TRF-এর নাম সেই বিবৃতিতে ছিল না। কারণ পাকিস্তানের চাপে রাষ্ট্রসঙ্ঘ সেই নাম বাদ দিতে বাধ্য হয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি সংসদে জানান, রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিবৃতি চূড়ান্ত হওয়ার সময় পাকিস্তান TRF-এর নাম বাদ দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিল।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিক্রিয়া ও সংঘর্ষ
পহেলগাম হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। এই অভিযানের ফলে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে চার দিনের সংঘর্ষ হয়। শেষ পর্যন্ত ১০ মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করে এবং সংঘর্ষ থামে।