ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তরপ্রদেশের (UP Man Killed By Wife) বিজনৌরে ঘটে গেল আবারও স্বামী হত্যার মতো ঘটনা। স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। সরকারি কাজ ও টাকার লোভে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি এমনভাবে সাজানো হয় যে, তা স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই ভাবে সবাই। যুবকের পরিবারের সন্দেহে ময়নাতদন্ত করতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিষয়।
শ্বাসরোধের জেরে মৃত্যু (UP Man Killed By Wife)
দিনকয়েক আগে দীপকের স্ত্রী পরিবারকে জানান, বাড়িতে পুজো চলাকালীন হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান, তাঁর স্বামী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দীপক (UP Man Killed By Wife)। শ্বশুড়বাড়ির লোককে তেমনটাই জানান শিবানী। কিন্তু আগে থেকে দীপকের এই রকম কোনও সমস্যা না থাকায় সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। তাঁরা দীপকের ময়নাতদন্ত করান। ৬ এপ্রিল আসা সেই রিপোর্ট আসতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয় পরিবারের কাছে। সেখানে উঠে আসে শ্বাসরোধের জেরে মৃত্যু হয়েছে দীপকের।
দীপককে ঘুমের ওষুধ দেয় (UP Man Killed By Wife)
তার পরই পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দীপকের পরিবার। সেই অভিযোগ পেয়ে শিবানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিবানী স্বীকার করেছেন যে, ঘটনার দি সে দীপককে ঘুমের ওষুধ দেয় (UP Man Killed By Wife)। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। এই কাণ্ড ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ ছাদে ঘোরাঘুরি করে শিবানী। সেই সময় মৃতের পরিবারকে ফোন করে মিথ্যা কথা বলে। তারপর দীপককে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: Varanasi Incident: দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে সাতদিন ধরে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৬
রেলের চাকরি ‘হাতাতে’ খুন
পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর রেলের চাকরি ‘হাতাতে’ তাঁকে খুন করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন শিবানী। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বিয়ের আগে থেকেই অন্য এক জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই বধূর। দীপক রেলে কাজ করেন এটা জানার পর তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের নামে চাকরি পাকা করে প্রেমিকের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ঘর-সংসার করার পরিকল্পনা ছিল তার। তাই দীপককে খুনের পরিকল্পনা করেন শিবানী। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, দীপকের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন ওই বধূ। দীপক অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
‘অন্য কেউ সাহায্য করেছে’
দীপকের ভাই পিযূজ বলেন, “আমাকে ফোন করে জানানো হয়, দাদা অসুস্থ। হাসপাতালে গেলে জানতে পারি দাদা মারা গিয়েছেন।” মৃতার মা অভিযোগ করেছেন, “ছেলের চাকরি পেতেই ওকে খুন করা হয়েছে। এই কাজে শিবানী একা নয়। ওকে অন্য কেউ সাহায্য করেছে।” দীপকের কাকা বিশাল বলেন,” আমার ভাইপোকে খুন করা হয়েছে। ওঁর স্ত্রী ওকে খুন করেছে। শিবানী এই দোষ একার কাঁধে নিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এই ঘটনায় ওকে কেউ সাহায্য করেছে। দীপকের চাকরি ও টাকা হাতানোর জন্য এই খুন করা হয়েছে। শিবানীর উপযুক্ত শাস্তি চাই।”