ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইয়েমেনের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ফের একবার ভয়ঙ্কর মোড় নিল (US air strikes)। শুক্রবার সকালেই ইয়েমেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তেলবন্দর রাস ইশা-তে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় আমেরিকার যুদ্ধবিমান। এই হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা (US air strikes)
হুথিদের নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই হামলা ছিল সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বন্দর সংলগ্ন আবাসিক এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি তাদের। এরই মধ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথি নেতৃত্ব।
অভিযানের লক্ষ্য (US air strikes)
অন্যদিকে, মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, এই বিমান অভিযানের লক্ষ্য ছিল হুথি বিদ্রোহীদের জ্বালানির উৎস ধ্বংস করা। সেন্টকমের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই অভিযান হুথিদের অব্যাহত সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর তাদের হামলা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

এশিয়ায় উত্তেজনা (US air strikes)
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই হুথিরা একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর (US air strikes)। আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকা, ইউরোপ এবং ভারত-সহ বহু দেশের বাণিজ্যিক জাহাজ। শুধু তাই নয়, হুথিরা ইজরায়েল ভূখণ্ডেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়তে শুরু করে।

আরও পড়ুন : India US Relation : মোদীর সঙ্গে ফোন আলাপে মাস্ক! শুল্ক যুদ্ধের মধ্যেই প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা
ইয়েমেনে সীমাবদ্ধ নেই (US air strikes)
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘর্ষ শুধু ইয়েমেনের মাটি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নেই। এর পেছনে রয়েছে জটিল আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি। হুথি বিদ্রোহীদের পেছনে ইরান ও হিজবুল্লার মতো শক্তির মদত রয়েছে বলেই দাবি করে আসছে আমেরিকা (Donald J. Trump) এবং সৌদি আরব। সৌদি মদতপুষ্ট সুন্নি সরকার হুথিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও রাজধানী সানার উত্তরাংশ-সহ বহু অঞ্চল হুথিদের নিয়ন্ত্রণে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া ইজরায়েলের (US air strikes)
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ইয়েমেন তথা গোটা মধ্যপ্রাচ্য আরও এক ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে এগোতে পারে।বিশেষ করে, গত বছরের ডিসেম্বরে হুথিদের ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকেই ইজরায়েলও সরাসরি পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে।
হামলার তীব্র নিন্দা (US air strikes)
বর্তমানে, রাস ইশা বন্দরের পরিস্থিতি ভয়াবহ (US air strikes)। উদ্ধারকারী দল কাজ চালাচ্ছে, তবে নিরাপত্তার অভাবে অনেক এলাকাতেই পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক মহল ইতিমধ্যেই এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাতে শুরু করেছে এবং দ্রুত শান্তি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।এই মুহূর্তে প্রশ্ন একটাই—এই আঘাত-প্রত্যাঘাতের রাজনীতি কোথায় গিয়ে থামবে? পশ্চিম এশিয়ার ভবিষ্যৎ যে আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।