ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন (US-China Tariff War) পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই ঘোষণা নতুন একটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এই শুল্কের তালিকায় খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে বস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চিনের একটি ‘পাল্টা পদক্ষেপ’ হতে পারে।
জারি বিবৃতি (US-China Tariff War)
চিনের অর্থ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে। এই নীতি আগামী ১০ মার্চ (US-China Tariff War) থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের মধ্যে নতুন একটি জটিলতা তৈরি হতে পারে।
ট্রাম্পের ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি (US-China Tariff War)
ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে (US-China Tariff War) বিভিন্ন বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রে তিনি কখনও নমনীয় হবেন না এবং ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রস্তুত। ট্রাম্পের দাবি, যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকা সেই দেশের পণ্যের উপর সমান হারে শুল্ক আরোপ করবে। গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Trump-Putin Relationship: রুশ-নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ভাবনা, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের চুক্তি?
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পাল্টা পদক্ষেপ!
চিনের নতুন এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা মূলত ট্রাম্পের আগ্রাসী বাণিজ্য নীতির প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, চিনে তৈরি অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকছে, কিন্তু বেজিং এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, যতদিন পর্যন্ত চিন এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নেবে, ততদিন তাদের পণ্যের উপর শুল্ক চাপানো অব্যাহত থাকবে।
শুল্ক বৃদ্ধির নজির
চিনের শুল্ক বৃদ্ধি শুধু মার্কিন পণ্যের জন্য নয়, বরং এটি কানাডা, মেক্সিকো এবং অন্যান্য দেশের বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করবে। অতীতে চিনও একাধিকবার মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকা থেকে আসা কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, অপরিশোধিত তেল এবং কৃষি সরঞ্জামের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক সম্পর্কের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ!
বিশ্ব বাণিজ্যের এই অবস্থা ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। একদিকে ট্রাম্পের সরকার চিনের বিরুদ্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, অন্যদিকে চিনও পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই অবস্থায় উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা অনিশ্চিত।