ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে ফের মুখোমুখি বৈঠকে বসেছে আমেরিকা ও চিন (US China Trade Meet)। সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনিভায় মে মাসের আলোচনার পরে এ বার ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে শুরু হয়েছে দুই দিনের উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা।লন্ডনের ঐতিহাসিক ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে সোমবার শুরু হওয়া বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এবং বিশেষ বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। চিনের তরফে প্রতিনিধি হয়ে এসেছেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিপেং।
বিরল খনিজ ও প্রযুক্তি পণ্যে রফতানি ঘিরে উত্তাপ (US China Trade Meet)
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আলোচনায় চিনের বিরল খনিজ রফতানির নীতিগত সীমাবদ্ধতা এবং মার্কিন প্রযুক্তি পণ্য—বিশেষ করে আধুনিক কম্পিউটার চিপ ও মাইক্রোপ্রসেসরের রফতানি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে (US China Trade Meet) ।বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিরল খনিজ উৎপাদক দেশ চিন। এই খনিজ বহু আধুনিক প্রযুক্তিপণ্যের (যেমন স্মার্টফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সামরিক সরঞ্জাম) জন্য অত্যাবশ্যক। সম্প্রতি, বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক কারণে চিন এই খনিজের রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। আমেরিকার আশঙ্কা, এতে তাদের প্রযুক্তি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জেনিভা আলোচনার পরে লন্ডনে আশার আলো? (US China Trade Meet)
গত ১১ মে জেনিভায় চিন ও আমেরিকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠক হয়েছিল (US China Trade Meet)। সেখানে শুল্ক সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও, বিরল খনিজ নিয়ে মতবিরোধ অব্যাহত ছিল। লন্ডনের এই বৈঠক সেই অচলাবস্থা কাটানোর একটি প্রয়াস। চিন ও আমেরিকার মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যে আমেরিকার ঘাটতির পরিমাণ ১২০ কোটি ডলার। এই ঘাটতি হ্রাস করাকে ট্রাম্প (Donald J. Trump) প্রশাসন তাদের বাণিজ্যনীতির মূল লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরেছে।

চুক্তির সম্ভাবনা ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া (US China Trade Meet)
বিশ্লেষকদের মতে, লন্ডনের বৈঠকে যদি কিছু মূল ইস্যুতে সম্মতি তৈরি হয়, তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একটি অন্তর্বর্তী বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর হতে পারে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে (US China Trade Meet)। এতে কেবল দুই দেশের বাণিজ্য স্থিতিশীল হবে না, বরং গোটা বিশ্বের বাজারও কিছুটা স্বস্তি পাবে।

চিন-আমেরিকার মতবিরোধ (US China Trade Meet)
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে এই বৈঠক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে(US China Trade Meet)। প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বব্যবস্থায় চিন-আমেরিকার মতবিরোধ কেবল দুই দেশের বিষয় নয়, বরং তার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক যোগান শৃঙ্খল ও বাজারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তি এবং খনিজসম্পদের মতো কৌশলগত ক্ষেত্রগুলিতে কোনও সমঝোতা আদৌ সম্ভব কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।