ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামফোবিয়া মোকাবিলার প্রথম সমন্বিত কৌশল (US combat Islamophobia) জনসমক্ষে এনেছে। এতে মুসলিম এবং আরব আমেরিকানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, হিংসা, বৈষম্য এবং পক্ষপাত মোকাবিলায় ১০০টিরও বেশি পদক্ষেপের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
এই উদ্যোগটি মে ২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের প্রকাশিত ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলার জাতীয় কৌশলের ধারাবাহিকতা। ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলার কৌশল সেই সময়ে ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষের প্রেক্ষিতে গৃহীত হয়েছিল।
কৌশলের মূল উদ্দেশ্য (US combat Islamophobia)
ইসলামফোবিয়া মোকাবিলার এই পরিকল্পনা (US combat Islamophobia) চারটি মূল অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। সেই গুলি হল:
সচেতনতা বৃদ্ধি
মুসলিম ও আরব সম্প্রদায়ের অবদান উদযাপনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ মোকাবিলা।
নিরাপত্তা বৃদ্ধি
মুসলিম ও আরব সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
আরও পড়ুন: Russia vs Ukraine War: রাতভর ইউক্রেনে ব্যাপক আক্রমণ রাশিয়ার
বৈষম্য রোধ
ধর্মীয় প্র্যাকটিস রক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাত দূর করা।
ঐক্য গড়ে তোলা
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতা ও ঐক্য বাড়ানো।
কীসের উপর জোর? (US combat Islamophobia)
পরিকল্পনাটি (US combat Islamophobia) ডেটা সংগ্রহ এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়, যা মুসলিম ও আরবদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের মোকাবিলায় সহায়ক হবে। এটি মুসলিম ও আরব সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং তাদের অবদানের ওপর আলোকপাত করে।
সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম মুসলিম নাগরিক অধিকার সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (CAIR) এই কৌশলকে “অত্যন্ত কম এবং বিলম্বিত” বলে সমালোচনা করেছে।
CAIR কৌশলের কিছু ইতিবাচক দিক স্বীকার করলেও অভিযোগ করেছে যে এটি ফেডারেল প্রোগ্রামগুলির পরিবর্তন বা মুসলিম-বিরোধী বৈষম্যের প্রধান কারণগুলিকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সংগঠনটি আরও জানায়, পরিকল্পনাটি গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সংঘর্ষসহ বৈশ্বিক দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা উপেক্ষা করেছে, যা সাম্প্রতিক মুসলিম-বিরোধী বিদ্বেষের অন্যতম কারণ।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
২০২৪ সালের নির্বাচনে বাইডেন প্রশাসন প্যালেস্টাইনপন্থী গোষ্ঠীগুলোর কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে, বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষেত্রে তাদের সমর্থন নিয়ে।
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি তার প্রথম মেয়াদে কয়েকটি মুসলিম-প্রধান দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে কিছু আরব-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থন অর্জন করেন। তবে তার ভবিষ্যৎ নীতিমালা কী হতে চলেছে সেই নিয়ে ওই সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগও রয়েছে।