ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া শুল্কনীতির (US-EU Tariff Conflict) মুখে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত সাময়িক পিছু হটল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)। মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েও আপাতত আলোচনার পথেই হাঁটতে চাইছে তারা। বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে এবং কূটনৈতিক সমঝোতার রাস্তাকে প্রাধান্য দিয়ে ইউরোপ স্পষ্টতই বোঝাতে চাইছে—তারা শুল্ক-খেলা নয়, টেবিলের আলোচনায় বিশ্বাস রাখে।
শুল্ক চাপানোর প্রস্তাব (US-EU Tariff Conflict)
একটি সংবাদ সংস্থার হাতে আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি থেকে জানা গিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের তরফে হিরে, বাদাম, সসেজ, সয়াবিনসহ একাধিক মার্কিন পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল (US-EU Tariff Conflict) । এমনকি, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মধ্যে এই প্রস্তাব অনুমোদনের সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে একধাপ পিছিয়ে গেল।
আলোচনার দরজা খোলা (US-EU Tariff Conflict)
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যপ্রধান মার্কোস সেফকোভিক বলেন, “আমরা খুবই সংলাপপন্থী (US-EU Tariff Conflict)। আলোচনায় বসতে চাই। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা অনন্তকাল অপেক্ষা করব।” তাঁর এই মন্তব্যেই স্পষ্ট—ইউরোপ আপাতত শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছে, তবে একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তুতিও রাখছে।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও প্রতিক্রিয়া (US-EU Tariff Conflict)
এর আগে ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন ইউরোপীয় পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করে (US-EU Tariff Conflict) । এরই প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপ প্রথমে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তার বাস্তবায়ন না করেই আলোচনার টেবিলেই ফিরে আসছে তারা। এই কৌশল অনেকটাই সেই বার্তা দেয়—ইউরোপ একদিকে আমেরিকার সঙ্গে সংঘাত এড়াতে চায়, আবার অন্যদিকে কৌশলগতভাবে প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভবিষ্যতের জন্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান (US-EU Tariff Conflict)
ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে ইতিমধ্যেই চিন ও ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে (US-EU Tariff Conflict) । বিশেষত চিন তো বলেই দিয়েছে, তারা এই শুল্কযুদ্ধের শেষ দেখে ছাড়বে। ভারত কিছু মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কমালেও নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় নতুন চুক্তির পথে হাঁটছে। এর মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই মিতবাচক অবস্থান বিশ্ব বাণিজ্য মহলে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত (US-EU Tariff Conflict)
বিশ্ব এখন এক জটিল বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি। একদিকে একতরফা মার্কিন সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে প্রতিরোধমূলক অবস্থান নিতে চাওয়া দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত দেখিয়ে দিল, শক্তির প্রদর্শনের চেয়ে সংলাপ অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। যদিও সময়ই বলবে—আলোচনার দরজা খোলা রেখে ইউরোপ কতদূর এগোতে পারে এবং এই পন্থা শেষমেশ আদৌ কার্যকর হয় কি না। তবে আপাতত ‘শান্তির বার্তা’ দিয়ে ইউরোপ বুঝিয়ে দিল—তারা যুদ্ধ নয়, সমঝোতায় বিশ্বাস রাখে।