ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের (US Tariff Controversy) বিতর্কের কেন্দ্রে। নতুন শুল্কনীতি নিয়ে আগেই উত্তাল হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহল। এবার সেই শুল্কনীতি আংশিক ভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প। যদিও এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র চিন বাদে অন্যান্য দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। চিনা পণ্যের উপর শুল্কের হার এবার বেড়ে দাঁড়াল ১২৫ শতাংশ, যা কার্যত রেকর্ড মাত্রা।
‘পারস্পরিক শুল্ক’ চাপানোর ঘোষণা (US Tariff Controversy)
ট্রাম্প প্রশাসন আগেই ঘোষণা করেছিল, আমেরিকার বাজারে প্রবেশ করা সব (US Tariff Controversy) দেশের পণ্যের উপর ‘পারস্পরিক শুল্ক’ চাপানো হবে। সেই তালিকায় ছিল ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইজরায়েল-সহ আমেরিকার বহু মিত্র দেশও। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। ৫০টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যেই আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক কাউন্সিল প্রধান কেভিন হ্যাসেট।
শেয়ার বাজারে অস্থিরতা (US Tariff Controversy)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে শুধু আন্তর্জাতিক নয়, আমেরিকার (US Tariff Controversy) অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিও টালমাটাল হয়ে উঠেছে। শেয়ার বাজারে নেমে আসে অস্থিরতা। ওয়াল স্ট্রিটের সূচকে বড় রকমের পতনের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। বাড়তে থাকে আমদানিকৃত পণ্যের দাম, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের উপর।
৯০ দিনের জন্য স্থগিত শুল্কনীতি
এই অবস্থায় ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত—চিন ছাড়া বাকি সব দেশের উপর নতুন শুল্কনীতি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হবে। যদিও হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিবর্তনের কারণ এখনও স্পষ্ট করেনি, তবে সংবাদ সংস্থা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, এই ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’ ও ‘ন্যাসড্যাক’ সূচকে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
চিনের সঙ্গে জারি শুল্কযুদ্ধ
চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ অবশ্য জারি। চলতি বছরের শুরুতে আমেরিকা চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপায়। পরে তা বেড়ে ১০৪ শতাংশে পৌঁছায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায় চিনও। শেষমেশ ট্রাম্প ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে শুল্ককে পৌঁছে দেন ১২৫ শতাংশে। তাঁর কথায়, “চিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে সম্মান জানায় না, তাই এমন সিদ্ধান্ত জরুরি।”
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যেসব দেশ আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি, তাদের ‘পুরস্কৃত’ করা হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এই দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের রূপরেখা যে দ্রুত বদলাচ্ছে, তা বলাই যায়। এবং সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রে রয়েছেন ট্রাম্প—একটি কৌশলী পদক্ষেপে যিনি কূটনীতি, অর্থনীতি ও রাজনীতিকে একসূত্রে বেঁধে ফেলেছেন।