ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US Tariff) ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ঘোষণার পর ভারত-সহ একাধিক দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আমেরিকার পণ্যের উপর যে দেশ আমদানি শুল্ক আরোপ করে, তাদের পণ্যের উপরও সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার ফলে ভারত, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি বিশেষভাবে প্রভাবিত হতে পারে।
শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য তালিকা (US Tariff)
হোয়াইট হাউসের (US Tariff) মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট (Karoline Leavitt) জানিয়েছেন, “পারস্পরিক কর আরোপের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকার দুগ্ধজাত দ্রব্যে ৫০ শতাংশ, জাপান আমেরিকায় উৎপাদিত চালে ৭০০ শতাংশ, ভারত আমেরিকার কৃষিজাত পণ্যে ১০০ শতাংশ, এবং কানাডা দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রায় ৩০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই শুল্কের কারণে আমেরিকার পণ্য বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে হোয়াইট হাউস।
ভারতীয় অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব (US Tariff)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে এই সিদ্ধান্ত বড় প্রভাব ফেলতে পারে (US Tariff)। বর্তমানে ভারতীয় কৃষিজাত পণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী, ওষুধ এবং তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার অন্যতম বড় বাজার হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদি আমেরিকা এই সমস্ত ভারতীয় পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করে, তাহলে রপ্তানিতে ধাক্কা লাগতে পারে। পাশাপাশি, ভারতের পক্ষ থেকেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পড়ুন: Japan Earthquake : ৮ থেকে ৯ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির আশঙ্কায় জাপান!

বিশ্ববাজারে প্রভাব (US Tariff )
বিশ্ববাণিজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশের অর্থনীতিতেও বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে (US Tariff)। বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং শেয়ারবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ (US Tariff)
বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার এই নীতির ফলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে (US Tariff)। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তিগুলো পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। একইভাবে, আমেরিকার অন্যান্য বড় বাণিজ্য সহযোগীরাও তাদের কৌশল বদলাতে বাধ্য হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের বার্তা (US Tariff)
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা করবেন । মুখপাত্র লেভিট বলেছেন, “বুধবার যা বলার প্রেসিডেন্ট বলবেন। কিন্তু পারস্পরিক কর নেওয়া হবে এবং আমেরিকার নাগরিকেরা সঠিক বিচার পাবেন।” বিশ্ব বাণিজ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই নীতি কার্যকর হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরও কড়াকড়ি আসতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।