ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব এবার (US Tariff War) ভারতেও পড়ল। বুধবার সকালে (ভারতীয় সময়) মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানান, ভারতসহ বেশ কিছু দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক চাপানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যের মধ্যে ছিল ভারতীয় পণ্যের উপর ২ এপ্রিল থেকে শুল্ক চাপানোর কথা, যা ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে।
ট্রাম্পের পাল্টা ব্যবস্থা (US Tariff War)
ট্রাম্প বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য দেশ আমাদের উপর শুল্ক (US Tariff War) চাপিয়ে এসেছে, এবার পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।” তিনি উল্লেখ করেন, ভারত আমাদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা কখনোই ন্যায্য ছিল না। ট্রাম্পের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সমীকরণে এক নতুন মোড় আনবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্পের ‘টিট ফর ট্যাট’ (US Tariff War)
এদিকে, তাঁর দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত (US Tariff War) সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতির কথা উল্লেখ করেন, যা বোঝায় যে যেসব দেশ মার্কিন পণ্যের উপর বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকা তাদের পণ্যের উপরও ততটাই শুল্ক বসাবে। তাঁর এই নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: Yunus on India-Bangladesh Relation: ভারতেই আস্থা ইউনূসের! হঠাৎ উল্টো সুরে গান গাইলেন কেন?
শুল্ক নিয়ে হুঁশিয়ারি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের সময়েও ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি সদা প্রস্তুত, কিন্তু তার জন্য ভারতকে শুল্ক ছাড় দিতে হবে। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আপনি শুল্ক ধার্য করুন বা না-করুন, আমি করবই।”
শুল্ক কমিয়েছে ভারত
ভারতের সরকারের পক্ষ থেকেও এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মোদী সরকার বাজেটে আমেরিকা থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল দ্রুত মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে আমেরিকা সফরে গেছেন। তবে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার ফলে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভারত।
ভারতের আমদানি শিল্প
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি যদি কার্যকর হয়, তাহলে ভারতের অর্থনীতি ও ব্যবসা কার্যক্রমে প্রভাব পড়বে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া কীভাবে সামলাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বিশেষ করে, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণা ভারতে আমদানি নির্ভর শিল্পের জন্য একটি সংকেত হিসাবে কাজ করবে।