Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন সার্জিও গর-কে(US Tariff War)। সেনেট কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গর জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি এখন আর খুব দূরে নয়। তাঁর মতে, ওয়াশিংটন তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে আলাদা মানদণ্ডে বিচার করে এবং ভারতের কাছ থেকে প্রত্যাশাও বেশি।
“বন্ধুদের কাছ থেকে আমরা বেশি প্রত্যাশা করি” (US Tariff War)
সাক্ষাৎকারে গর বলেন, “আমরা আমাদের বন্ধুদের ভিন্ন মানদণ্ডে বিচার করি(US Tariff War)। ভারতের কাছ থেকে আমরা অন্য দেশগুলির তুলনায় অনেক বেশি প্রত্যাশা রাখি। শুল্ক নিয়ে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তা অতিক্রমযোগ্য।’’ তিনি আরও যোগ করেন, সাম্প্রতিক রাশিয়ার তেল কেনা এবং আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির মতো ইস্যুতেও সম্পর্ক ভাঙনের জায়গায় পৌঁছায়নি।
শুল্ক ও রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে টানাপড়েন(US Tariff War)
ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমে ভারতের আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়(US Tariff War)। পরে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর করার জন্য। ট্রাম্প এটিকে ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘‘ভারতীয় কেনাকাটার মাধ্যমে ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থায়ন হচ্ছে।’’ যদিও এই কূটনৈতিক টানাপড়েন সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী বার্তা দিয়েছেন গর।

আরও পড়ুন :PM Modi Visit Manipur : শনিবার মনিপুরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী! কী কী কর্মসূচী রয়েছে মোদির?
বাণিজ্য চুক্তির পথে নতুন উদ্যোগ
রাষ্ট্রদূত মনোনীত গর জানিয়েছেন, ট্রাম্প ভারতের বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক মন্ত্রীদের আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন(US Tariff War)। সেখানে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অ্যাম্বাসাডর জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠক হবে। তিনি বলেন, “আমাদের পূর্ণ ইচ্ছা আছে এই আলোচনা থেকে তেল, পেট্রোলিয়াম, এলএনজি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের বিশাল বাজারে প্রবেশ করার। ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি সংখ্যায় আমেরিকার মোট জনসংখ্যার থেকেও বড়। তাই মার্কিন ব্যবসার জন্য অসংখ্য সম্ভাবনা রয়েছে।”
মোদি-ট্রাম্প সম্পর্ককে “বিশেষ” আখ্যা(US Tariff War)
সার্জিও গর জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে, যা একেবারেই অনন্য। তিনি যখন অন্য দেশগুলির সমালোচনা করেন, তখন সেসব দেশের নেতাদেরও কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে তিনি সবসময় মোদীকে প্রশংসা করেছেন।”
আরও পড়ুন :Supreme Court : অয়ন শীলের জামিনের আবেদন খারিজ,৬ মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্ক বৃদ্ধির মতো অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আমেরিকা-ভারত সম্পর্কের ভিত শক্ত(US Tariff War)। উভয় দেশই বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত স্বার্থে পরস্পরের অপরিহার্য সহযোগী। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তিকে দ্রুত কার্যকর করতে চাইছে, আর মোদী সরকারও বৈশ্বিক মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান অংশীদার হিসেবে রাখতে আগ্রহী।