ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাণিজ্য প্রসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক বার তোপ দেগেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (USA Tariff)। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকান পণ্যে ভারত চড়া হারে শুল্ক নিয়ে থাকে। যে কারণে ভারতের বাজারে ভালো করে বাণিজ্য করতে পারে না আমেরিকা।
মোদী-ট্রাম্পের বৈঠক (USA Tariff)
কিছুদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকায় গিয়েছিলেন (USA Tariff)। সেখানে গিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। এরই মধ্যে ট্রাম্প দাবি করেন, মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক কমানো হয়নি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে ভারতকে আবারও শুল্ক নিয়ে কটাক্ষ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কটাক্ষের সুরে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, তিনি ভারতের এত দিনের কীর্তি ফাঁস করে দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ভারতের কীর্তি ফাঁস হওয়ার কারণেই এবার নয়াদিল্লি শুল্ক কমাতে বাধ্য হবে।
ট্রাম্পের কটাক্ষ (USA Tariff)
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক (USA Tariff) নেওয়ার পরিমাণ কমাতে রাজি হয়েছে। ট্রাম্প ভারতকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, ভারত আমেরিকার থেকে বিপুল পরিমাণ কর নেয়। যে কারণে আমেরিকা ভারতে কিছুই বিক্রি করতে পারে না। তারপরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, এখন ভারত আমেরিকার পণ্যের উপরে শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছে। কারণ এতদিন ধরে ভারত যে এত বেশি শুল্ক নিয়ে এসেছে সেটা এখন আমরা ফাঁস করে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: USA vs Ukraine: ইউক্রেনের চেয়ে পুতিনের সঙ্গে সমঝোতা সহজ! হোয়াইট হাউসে মন্তব্য ট্রাম্পের

একাধিক দেশের বিরুদ্ধে তোপ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যে শুধু ভারতের উপরেই এমন তোপ দেগেছেন তা কিন্তু নয়। তিনি আমেরিকার পণ্যের উপরে শুল্ক চাপানো নিয়ে একই সুরে আরও একাধিক দেশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ট্রাম্প। তিনি শুল্ক নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, , ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে চিন, ব্রাজ়িল কিংবা আমেরিকার প্রতিবেশী মেক্সিকো এবং কানাডা মার্কিন পণ্য থেকে বিপুল পরিমাণ শুল্ক আদায় করে।ভারতে শুল্কের পরিমাণ একশো শতাংশেরও বেশি বলে তোপ দেগেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এমনকি কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে ভারত ২০০ শতাংশের কাছে শুল্ক নেয় বলেও উল্লেখ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: Vladimir Putin: শর্ত দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করতে রাজি পুতিন?
পারস্পরিক শুল্ক
ভারতের উচ্চ হারে কর আদায়ের এই নীতিকে অন্যায় বলেও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রতি বিভিন্ন দেশের এই শুল্কনীতির পাল্টা ট্রাম্পও আমেরিকার নতুন ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির কথা জানিয়েছেন। এই নীতির স্পষ্ট অর্থ হল যে যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপরে যত বেশি শুল্ক নেয় সেই দেশের উপরেও আমেরিকা তত বেশি শুল্ক ধার্য করবে। এই নীতি আমেরিকা আগামী ২রা এপ্রিল থেকে চালু করতে পারে। এমনকি এই নীতি কার্যকর হলে ভারতের উপরেও বাড়তি শুল্ক চাপাবে আমেরিকা।