ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গরম ভাতে কিছুটা ঘি(Usage Of Ghee) যোগ করলে তার গন্ধেই অর্ধেক ভাত খাওয়া হয়ে যায় প্রায়। যে কোনো নিরামিষ পদেও কয়েক ফোঁটা ঘি স্বাদ-গন্ধ বদলে দিতে পারে অনেকটাই। তাছাড়াও আমিষ বিভিন্ন পদেও ভিন্ন স্বাদ আনতে ব্যবহার করা হয় ঘি। তবে জানেন কি খাবার দ্রব্য ছাড়াও প্রতিদিনের জীবনে ঘি দিয়ে করা যেতে পারে অনেক কিছুই। নিজের অনেক কাজে ব্যবহার করতে পারেন এই ঘি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী কাজে ব্যবহার করতে পারেন এই ঘি।
ত্বকের জেল্লা ফেরান (Usage Of Ghee)
রুক্ষ নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফেরাতে পারে ঘি(Usage Of Ghee)। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন থাকায় ঘি ত্বকের পক্ষে ভাল। ত্বকের কালচে ভাব, দাগছোপ দূর করতে সামান্য ঘি-ই যথেষ্ট। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা রুক্ষ ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ত্বক টানটান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক। শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ঘি দারুণ উপযোগী। বেসন, ঘি, হলুদ ও কাঁচা দুধ দিয়ে উপটান বানিয়ে মাখতে পারেন। এতে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসবে এবং ত্বক কোমল দেখাবে।

রান্নায় ঘি (Usage Of Ghee)
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ঘি(Usage Of Ghee)। বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে ঘি। তেলের বদলে ঘি দিয়ে রান্না করুন। এতেই কাজ হবে। অবশ্যই এক্ষেত্রে ঘিয়ের পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে। বেশি ঘি খাওয়া একদমই ঠিক নয়, মেপে খান ঘি।
আরও পড়ুন:Cooked Rice Water: ভাতের ফ্যান না ফেলে যোগ করুন এই খাবারগুলোই
চুলের জন্য উপকারী
চুলের যত্নেও কাজে লাগাতে পারেন ঘি(Usage Of Ghee)। শুষ্ক চুল মসৃণ এবং সুন্দর করে তুলতে পারে ঘি। স্নানের আগে হালকা গরম ঘি চুলে মালিশ করে আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। কয়েক বার ব্যবহারে ক্রমশ জেল্লা ফিরতে শুরু করবে আপনার নিষ্প্রাণ চুলে।

বন্ধ নাকে উপকারী
ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গিয়েছে? এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে ঘি আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। সকালে ঘুম থেকে উঠে সামান্য ঈষদুষ্ণ ঘি নাকে ঢেলে দিন। এটি গলা অবধি আপনার সংক্রমণকে কমিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন:Daler Bori Recipe: বড়িতে মিশে আছে সাংস্কৃতিক পরিচয়, বাড়িতেই বানান বড়ি
ঠোঁটের যত্নে
ফাটা ঠোঁটের যত্নে সামান্য একটু ঘি যথেষ্ট। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ময়েশ্চারাইজ়ার ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঠোঁটে সরাসরি ঘি লাগিয়ে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলের বদলে ঠোঁটের উপর ঘি লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় থাকবে। পাশাপাশি ঠোঁট ফাটবে না আর।

মালিশ
রুক্ষ ত্বকের জন্য ঘি ভাল। এসেনশিয়াল অয়েল বা অন্য তেলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে মাখতে পারেন সারা শরীরেই। ঘি মালিশে শুধুই লাবণ্যই ফিরবে না, ত্বক হবে সুন্দর এবং লাবণ্যে পূর্ণ। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে পারেন ঘি দিয়ে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের চেটো ঘি দিয়ে মালিশ করুন। এতে পায়ের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে এবং ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। এই উপায়ে আপনি পায়ের পাতা ফাটা থেকেও রোধ করতে পারবেন।