Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ (Vice Presidents Oath Ceremony) নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
প্রথমবার জনসমক্ষে দেখা গেল তাঁকে (Vice Presidents Oath Ceremony)
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও সস্ত্রীক উপস্থিত (Vice Presidents Oath Ceremony) ছিলেন। গত ২১ জুলাই তিনি আচমকাই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারপর এই প্রথমবার জনসমক্ষে দেখা গেল তাঁকে। ধনখড়ের এই আকস্মিক পদত্যাগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কম বিতর্ক হয়নি। যদিও শাসকদল জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি পদত্যাগ করেন। বিরোধীরা যদিও এই দাবিকে সহজভাবে নেয়নি এবং পুরো ঘটনাকে ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
ধনখড়ের ইস্তফার পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রয়োজন (Vice Presidents Oath Ceremony)
ধনখড়ের ইস্তফার পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা (Vice Presidents Oath Ceremony) দেয়। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় ভোটগ্রহণ। এনডিএ সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র মনোনীত প্রার্থী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি।
একাধিকবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
ভোটগণনা শেষে দেখা যায়, রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট, যেখানে সুদর্শন রেড্ডির ঝুলিতে গিয়েছে ৩০০টি ভোট। বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়ে দেশের পঞ্চদশ উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাধাকৃষ্ণন। উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ছাড়াও, সংবিধান অনুযায়ী রাধাকৃষ্ণন এখন থেকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করবেন। ধনখড়ের রাজ্যসভা অধ্যক্ষ হিসেবে ভূমিকা নিয়ে অতীতে বিরোধীরা একাধিকবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়।

আরও পড়ুন: Bonny-Koushani: প্রত্যেক পুরুষের কাছে বনি উদাহরণ : কৌশানি
এই প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলগুলি রাধাকৃষ্ণনের কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণের প্রত্যাশা করছে। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং অতীতের কাজকর্ম দেখে আশা করা হচ্ছে, তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতি বজায় রেখে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন উপরাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এখন দেখার, সংসদীয় পরিসরে তিনি কতটা ভারসাম্য রেখে, সব পক্ষকে নিয়ে কাজ করতে পারেন।