ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিজয় মালিয়া বলেন, ব্যাংকগুলি ৬,২০৩ কোটি টাকার ঋণ থেকে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা আদায় করেছে (Vijay Mallya New Claim)। তিনি দাবি করেন যে, বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও ব্যাংকগুলি অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট দেয়নি। এর ফলে তিনি কর্ণাটক হাইকোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন করেছেন।
ব্যাংকের হিসেব চাইলেও মেলেনি কোনও বিবরণ, জানালেন কর্ণাটক হাই কোর্টে যাওয়ার কারণ (Vijay Mallya New Claim)
ফের ব্যাংক ঋণ নিয়ে বড় দাবি করলেন শিল্পপতি বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya New Claim)। জানালেন, ব্যাংকগুলির কাছ থেকে ৬,২০৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে ছিল ১১.৫ শতাংশ সুদ। কিন্তু তাঁর দাবি, ব্যাংকগুলি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করে ফেলেছে।
একটি পডকাস্টে (হোস্ট: রাজ শামানি) মালিয়া বলেন, ব্যাংকগুলিকে তাঁর আইনজীবীরা অন্তত ১৫ বার চিঠি পাঠিয়েছেন ঋণ সংক্রান্ত হিসেবের জন্য। এমনকি তিনি স্বয়ং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। শেষ চিঠির জবাবে একটি সাক্ষাৎকারের অনুরোধ জানানো হয়েছিল, তবে ব্যাংকপক্ষ তা নাকচ করে। এই কারণেই তিনি কর্ণাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
‘আমি কোনও ব্যাখ্যা পাইনি’ (Vijay Mallya New Claim)
মালিয়া বলেন (Vijay Mallya New Claim), ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনালের সার্টিফিকেটে দেখানো হয়েছে ঋণের পরিমাণ ৬,২০৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে সুদ ধরা হয়েছে ১১.৫ শতাংশ হারে। এই ঋণ ছিল চারটি সংস্থার নামে। সেগুলি হল কিংফিশার এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ, বিজয় মালিয়া এবং কিংফিশার ফিনভেস্ট।
আরও পড়ুন: RBI Cut Repo Rate: RBI-র বড় সিদ্ধান্ত! রেপো রেট কমে ৫.৫০ শতাংশ! ধার শোধে স্বস্তি, চাপে সঞ্চয়
মালিয়ার কথায়, “আমি সেই ব্যক্তি যাকে বারবার আক্রমণ করা হয়েছে। যে ৯,০০০ কোটি টাকার ঋণের কথা বলা হয়, সেটা কোথা থেকে আসে, আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। ব্যাংক আমার কাছে কোনও হিসেবই জমা দেয়নি, যা একেবারেই অদ্ভুত।”
কর্ণাটক হাই কোর্টে গিয়েছেন কেন?
এএনআই সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিজয় মালিয়া কর্ণাটক হাই কোর্টে যান। তাঁর আবেদন ছিল ব্যাংকগুলির ঋণ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদে জানানো হোক। তিনি দাবি করেন, যেহেতু ইতিমধ্যেই ১৪,০০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাই ব্যাংকগুলি যেন একটি বিস্তারিত হিসেব দেয়, কত টাকা আদায় হয়েছে।
আরও পড়ুন: DIGIPIN: পিনকোডকে বিদায়! আসছে নয়া যুগের ‘ডিজিপিন’
অর্থনৈতিক অপরাধে সম্পত্তি উদ্ধারের চিত্র
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আগেই সংসদে একাধিক বড় আর্থিক অপরাধ মামলার উল্লেখ করেছেন, যেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) অভিযুক্তদের সম্পত্তি জব্দ করেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম অতিরিক্ত বরাদ্দ বিতর্কে জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, বড় মামলাগুলির মধ্যে সরকার প্রায় ২২,২৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র বিজয় মালিয়ার কাছ থেকে প্রায় ১৪,১৩১.৬ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করে তা পাবলিক সেক্টর ব্যাংকগুলির হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।