ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘নদীর পাড়ে বাস, চিন্তা বারো মাস’ এই কথাটা যে কতটা সত্যি, তা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব-ফলিমারি গ্রামের বাসিন্দারা (River erosion)। ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অসম সংলগ্ন এই পূর্ব-ফলিমারি গ্রাম। সংকোশ নদী গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক এমনকি জেলা থেকেও গোটা পূর্ব-ফলিমারী গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সেরকমভাবে এই গ্রামে এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
নদী ভাঙন সমস্যা (River erosion)
গ্রামবাসীরা ভাঙন প্রতিরোধে দীর্ঘ আন্দোলনের ফলেও এখনও বাঁধ নির্মাণ হয়নি এলাকায়। এরই প্রতিবাদে আজ বাঁধের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। এই এলাকায় নদী ভাঙন (River erosion) সমস্যা দীর্ঘদিনের। এর আগে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বহু কৃষি জমি সহ বসতভিটে। অস্তিত্ব সংকটে অসংখ্য কৃষিজীবী পরিবার। পূর্ব-ফলিমারি গ্রামের প্রচুর আবাদি জমি এবং ঘরবাড়ি গিলেও নদীর খিদে যেন মেটেনি। নদী যেভাবে ক্রমশ বসতির দিকে এগিয়ে আসছে, তাতে গ্রামের বাকি বসতভিটে টুকুও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।
আরও পড়ুন: Woman killed: পরকীয়ার জের, স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর
আরও পড়ুন: Weather: সপ্তাহের শুরুতে আবহাওয়ার ভোলবদল! ফের বাড়বে তাপমাত্রার পারদ
তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নদী ভাঙন (River erosion) সমস্যা নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর থেকে শুরু করে বিডিও অফিস, এমনকি সেচদফতরে অভিযোগ জানিয়ে এলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তারা আরও বলেন, কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে হয় তাদের। ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যে আবাদি জমি, ফসল সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। তাহলে পরিবার সারাবছর কী খাবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা।
প্রশাসনের থেকে এর আগে এসে কয়েকবার দেখে গিয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফের নতুন করে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রবল ভাঙন (River erosion) শুরু হয়েছে। ভাঙনের জেরে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে প্রায় ১৫০০টি পরিবারের। ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য বাড়িঘর কিছুটা দূরে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরা রয়ে গিয়েছেন নদীর পাড়ে।
আরও পড়ুন: RG Kar Murder Case: আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়, সাজা ঘোষণা সোমবার
শুধু বর্ষাকালেই নয়, শুখা মরশুমেও ভাঙন অব্যাহত থাকে। এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কৃষির ওপর ভরসা করে সংসার চালাতে হয় তাঁদের। কিন্তু এভাবে আবাদি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না।
এ নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা চরমে। শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষদের পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। এই সরকারের দ্বারা উন্নয়নমূলক কাজ আশা করা বৃথা। এলাকার বাসিন্দাদের এই দাবি কবে পূরণ হবে সেটাই এখন দেখার।