Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আর কদিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো, কিন্তু গণেশ পুজোর মত অত তোড়জোড় নেই (Vishwakarma Puja)। তারও নানা কারণ আছে, সেই সব দিকে নাইবা যাওয়া হলো… খবর সূত্রে জানা যায়, বাংলার মৃৎশিল্পে এখন গণেশ প্রতিমার চাহিদা আকাশছোঁয়া। একই উচ্চতার গণেশ প্রতিমা যেখানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়, সেখানে বিশ্বকর্মা প্রতিমা বিক্রি হয় অর্ধেক দামে। ফলে উদ্যোক্তারা স্বাভাবিকভাবেই গণেশের দিকেই ঝুঁকছেন।
লাভের অঙ্কে এগিয়ে গণেশ (Vishwakarma Puja)
মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, গণেশ পুজোর চাঁদা তুলনামূলক বেশি হয়। ফলে উদ্যোক্তারা প্রতিমার পিছনে বেশি খরচ করতেও দ্বিধা করছেন না। অন্যদিকে, বিশ্বকর্মার দাম চড়া হলেও সেখানে সে রকম লাভ হচ্ছে না।
বদলে যাওয়া পুজোর রেওয়াজ! (Vishwakarma Puja)
আগে গণেশ চতুর্থীর তেমন প্রচলন ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরে শহর থেকে মফঃস্বল সর্বত্রই এই পুজোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আগে যে পুজো সীমিত ছিল কিছু রাজ্যে, এখন তার ছাপ কলকাতাসহ নানা জায়গায় স্পষ্ট।
বিশ্বকর্মা তৈরিতে ভাঁটার টান! (Vishwakarma Puja)
খবর সূত্রে জানা যায়, এবছর অনেক মৃৎশিল্পী বিশ্বকর্মার অর্ডার কম নিয়েছেন। কারণ একদিকে গণেশের চাহিদা বেশি, অন্যদিকে সামনে আবার দুর্গাপুজো। ফলে একসঙ্গে সব সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
শাস্ত্রে বিশ্বকর্মা পুজোর মাহাত্ম্য (Vishwakarma Puja)
পুরাণ ও শাস্ত্র মতে, বিশ্বকর্মা দেবশিল্পী, দেবতাদের স্থপতি। তিনি স্বর্গের অসংখ্য প্রাসাদ, রথ, অস্ত্রশস্ত্র ও নানা যন্ত্র তৈরি করেছিলেন। তাই তাঁকে ‘শিল্পের দেবতা’ বলা হয়। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য, কারিগরি কাজে দক্ষতা এবং যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বকর্মা পুজো হয়। বিশেষত কলকারখানা, কারখানা, অফিস কিংবা ঘরে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পূজা করার প্রথা শাস্ত্রসম্মত।
আরও পড়ুন : Temple Bell: মন্দিরে ঘণ্টা কখন বাজাবেন?
বাজারে বড় পরিবর্তন !
চাহিদা, দাম এবং সময় এই তিন ফ্যাক্টরই এখন মৃৎশিল্পের বাজারে বড় পরিবর্তন আনছে। গণেশ প্রতিমা যখন ব্যবসায়ীদের কাছে লাভজনক, তখন বিশ্বকর্মা প্রতিমা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। এর ফলে ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা তৈরির ধারা নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড়াচ্ছে