ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য অনেকটা (Vitamin E in Skin Care) নির্ভর করে সঠিক পুষ্টি ও যত্নের উপর। ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন-ই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ত্বকের কোষগুলোকে রক্ষা করতে এবং পুনর্নবীকরণে সহায়তা করে। ভিটামিন-ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং বয়সজনিত ত্বকীয় পরিবর্তন (যেমন, বলিরেখা ও দাগ) প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন-ই এর কাজ (Vitamin E in Skin Care)
ভিটামিন-ই ত্বকের কোষে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের (Vitamin E in Skin Care) সঙ্গে লড়াই করে এবং কোষের পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে। এটি ত্বককে সজীব এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে, পাশাপাশি শুষ্কতা এবং অন্যান্য ত্বকীয় সমস্যার প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন-ই-এর নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ত্বকের লালভাব ও র্যাশ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করতে পারে।
কোন খাবারে পাবেন ভিটামিন-ই? (Vitamin E in Skin Care)
তবে, ভিটামিন-ই কেবল বাহ্যিকভাবে (Vitamin E in Skin Care) ব্যবহারের মাধ্যমেই নয়, এটি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাপ্তি হওয়ার জন্য খাদ্য থেকেও এটি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিছু খাবারে প্রচুর ভিটামিন-ই উপস্থিত থাকে, যা ত্বকের সুস্থতায় অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: Ganesh Puja Ritual: গণেশ পুজোয় এই জিনিস দিলেই সর্বনাশ! জীবনে দুঃখের শেষ থাকবে না
- বাদাম: বিশেষ করে আখরোট, কাজুবাদাম (Vitamin E in Skin Care) এবং আমন্ডে ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমাণে থাকে। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম ত্বককে আর্দ্র ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। বাদামের ফ্যাট শরীরের গঠন বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
- সবুজ শাকসবজি: পালংশাক, মিষ্টি আলু, ব্রকলি ইত্যাদি ভিটামিন-ইতে সমৃদ্ধ। সবুজ শাক-সবজিতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এসব শাকসবজি নিয়মিত খেলে ত্বক থাকবে সতেজ ও উজ্জ্বল।
- তেল: সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল, এবং সয়াবিন (Vitamin E in Skin Care) তেলও ভিটামিন-ই-এর উৎকৃষ্ট উৎস। এই তেলগুলো রান্নায় বা স্যালাডে ব্যবহার করা উচিত। এই তেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকে। থাকে ওমেগা-৩ ও ভালো ফ্যাটি অ্যাসিড।
- ফল: পেপে, কিউই, মিষ্টি কমলা, আম ও খেজুরে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়। এগুলো ত্বকের (Vitamin E in Skin Care) কোষগুলোকে হাইড্রেটেড রাখে।
- দুধ ও দই: ভিটামিন-ইতে পরিপূর্ণ দুধ এবং দই ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করতে কার্যকর। শুধু দই খেলে নয় সপ্তাহে দু-দিন দই মুখে মাখলে ত্বকের ট্যান দূর হয়, ত্বক থাকে সজীব।