ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আখরোট, একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর বাদাম, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা (Walnut Benefits) বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করা এবং হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মায়েরা প্রায়ই তাদের সন্তানদের আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ এটি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে, আখরোট খাওয়ার কিছু সতর্কতা রয়েছে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা (Walnut Benefits)
আখরোটে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ, যা শরীরের জন্য (Walnut Benefits) অত্যন্ত উপকারী। এটি বিশেষভাবে স্নায়ু সুরক্ষায় সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলির কার্যকারিতাকে শক্তিশালী করে। পুষ্টিবিদ অশ্লেষা জোশী জানান, আখরোটে ২.৫ গ্রাম আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ধরন) থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া, এটি ভিটামিন ই এবং পলিফেনল সরবরাহ করে, যা নিউরনকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
এছাড়া, আখরোট হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকি, এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে।
কী পরিমাণ আখরোট খাবেন? (Walnut Benefits)
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং স্নায়ু সুরক্ষার (Walnut Benefits) জন্য প্রতি দিন ৫-৭টি আখরোট (প্রায় ২৮ গ্রাম) খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরিমাণে আখরোট খেলে সেরা উপকারিতা পাওয়া যায়। ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন এজিং নিউরোসায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ৩০ গ্রাম আখরোট খান, তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
তবে, এটি অতিরিক্ত না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, যে কোনও খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এবং আখরোটের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
কাদের সতর্কতা মেনে চলতে হবে?
যারা বাদামে অ্যালার্জি আছেন, তাদের জন্য আখরোট খাওয়া বিপজ্জনক (Walnut Benefits) হতে পারে। এছাড়া, যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে আক্রান্ত, তাদেরও আখরোট খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কিডনিতে পাথর বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আখরোট খাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: Saturday Lucky Zodiacs: চাঁদের সারাদিন ধনু রাশিতে গোচর, কোন রাশির জাতকরা প্রচুর উন্নতি করবেন
এছাড়া, আখরোটে উচ্চ ক্যালোরি থাকে, তাই যারা ক্যালোরি নিয়ে সচেতন, তাদেরও সঠিক পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত আখরোট খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে, যা কিছু মানুষদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সঠিকভাবে আখরোট খাওয়ার উপায়
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, আখরোট খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল এটি কোনো ভারী খাবার বা জলখাবারের সঙ্গে মেশানো। যেমন দই-মুড়ি, ওট্স বা গোলারুটির মধ্যে আখরোট ভেঙে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া, তরকারি, চাটনি, পায়েস বা লাড্ডুতেও আখরোটের কুচি মিশিয়ে খাওয়া যায়, যা খাবারকে আরও পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু করে তোলে।