ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি ওয়াকফ (সংশোধিত) আইন নিয়ে (Waqf Law Controversy) বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি এই আইনকে সামাজিক ন্যায়বিচারের একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে এটি কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিকার। মোদী এই আইনের মাধ্যমে গরিব মুসলমান, নারী এবং শিশুর অধিকার সুরক্ষিত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি (Waqf Law Controversy)
মোদী তাঁর বক্তব্যে বলেন, কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি (Waqf Law Controversy) নতুন কিছু নয়। তিনি দাবি করেন যে, স্বাধীনতার সময় থেকেই এই রাজনীতি শুরু হয়েছিল এবং তা দিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতা লাভ করেছে। দ্বি-জাতি তত্ত্বের মাধ্যমে, মোদী দাবি করেন, মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, যেখানে সাধারণ মুসলিমদের শোষণ করা হয়েছিল। মোদীর মতে, তোষণের রাজনীতির ফলে গরিব মুসলিমরা শুধু বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগও কমেছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে শাহবানুর মতো মুসলিম মহিলাদের প্রতি অবিচারের কথা উল্লেখ করেন, যারা সমাজের অবিচারের শিকার হয়েছেন।
মুসলিমদের অধিকার সুরক্ষা (Waqf Law Controversy)
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এই ওয়াকফ আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থের পক্ষে একটি উল্লেখযোগ্য (Waqf Law Controversy) পদক্ষেপ। এই আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের অধিকার সুরক্ষিত হবে এবং ওয়াকফের পবিত্র চেতনা রক্ষা করা হবে।’’ তাঁর মতে, এই আইনের ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের গরিব মানুষদের উন্নতির পথ সুগম হবে এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। মোদী এই আইনকে ‘ঐতিহাসিক সংস্কার’ হিসেবে দেখছেন, যা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারী সদিচ্ছার প্রমাণ।
দুটি কক্ষেই পাস হয়েছে ওয়াকফ বিল
এদিকে, গত সপ্তাহে ভারতীয় সংসদের দুটি কক্ষেই পাস হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধিত) বিল। লোকসভায় এই বিলটি পক্ষে ২৮৮টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে ছিল ২৩২টি। রাজ্যসভাতেও এটি সমর্থিত হয় ১২৮টি ভোটের মাধ্যমে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই বিলে সই করার পর, বিলটি আইনে পরিণত হয়। তবে বিরোধীরা এই আইনটিকে ‘মুসলিম-বিরোধী’ আখ্যা দিয়েছেন এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: RBI: জল্পনাই সত্যি হল, রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
বিরোধীদের অভিযোগ
বিরোধীদের অভিযোগ, এই আইন মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং তাদের অধিকার খর্ব করবে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে যে, এই আইন শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য নয়, বরং দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য একটি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। এমনকি, এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। তবে, গত মঙ্গলবার থেকেই ওয়াকফ (সংশোধিত) আইন কার্যকর করা হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সরকারের দৃষ্টিতে প্রশংসিত হয়েছে।