ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘিরে অনিয়ম ও জবরদখলের (Waqf Property) অভিযোগে এক বিস্ফোরক রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরে পাঠানো এই রিপোর্টে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষনেতার নাম উঠে এসেছে। তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের এক রাজ্যসভার সাংসদ, কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলর এবং প্রয়াত এক প্রাক্তন বিধায়কও।
একাধিক অভিযোগ (Waqf Property)
রিপোর্ট অনুযায়ী, নদিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ সাহিবুল্লা (Waqf Property) ওয়াকফ এস্টেটের ৩,০০০ বর্গফুট জমি নিজের দখলে নিয়েছিলেন। অপরদিকে, তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক আলিপুরের তালবাগান রোডের ওয়াকফ জমি ‘কব্জা’ করেছেন বলেও উল্লেখ রয়েছে। ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জোহুরা বিবি ওয়াকফ এস্টেটের অন্তত ৫ বিঘা জমি দখল করে সেখানে মার্বেলের ব্যবসা চালাচ্ছেন, যা তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চলছে।
অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত! (Waqf Property)
কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর শাম্মি জাহান বেগমের বিরুদ্ধেও টিপু সুলতান গোরস্থানের (Waqf Property) জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে, যদিও জমির পরিমাণ বা ব্যবহার সম্পর্কে রিপোর্টে বিস্তারিত কিছু লেখা হয়নি। ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিজেপি আমাকে বারবার হেনস্থা করার চেষ্টা করছে। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সামনে এনেছে।” একই সুরে শাম্মি জাহানও বলেন, “আমি ওয়াকফ বোর্ডের কেউ নই, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

ফিরহাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ
রিপোর্টে বাম আমলেরও উল্লেখ রয়েছে, যেখানে ২০০৬, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল, ফিরহাদ হাকিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোনও এফআইআর হয়নি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেই নির্মাণ আবার শুরু হয়। মেটিয়াবুরুজের নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের দান করা জমির ‘সাব-লিজ়’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র। ওই জমি এক হাসপাতালে সাব-লিজ় দেওয়া হয়, যার চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: Tarapith Temple: তারাপীঠে অনলাইন পুজোর বিজ্ঞাপন! সতর্ক বার্তা মন্দির কমিটির
নতুন বিতর্কের জন্ম
এছাড়া, আফাকুজ্জামান নামে এক প্রভাবশালী ওয়াকফ বোর্ড সদস্যের বিরুদ্ধেও বেআইনি নিয়োগ ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, তৃণমূল আমলেই একাধিক অমুসলিমকে ওয়াকফ এস্টেটের কমিটিতে রাখা হয়েছিল বলেও রিপোর্টে দাবি। সব মিলিয়ে, ওয়াকফ বিল ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এই রিপোর্ট বাংলার রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিল।