Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নয়া ওয়াকফ (Waqf Protest) সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে রাজ্যের একাধিক জেলা। এবার সেই উত্তাপ পৌঁছল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও। রবিবার সকালে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসন্তী হাইওয়ে, যখন পুলিশ ও আইএসএফ (ISF) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, কলকাতায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে আইএসএফ কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। তার জেরে রাস্তাতেই শুরু হয় বিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে পথ অবরোধ।
আইএসএফ কর্মীদের দাবি (Waqf Protest)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী হাইওয়ের বৈরামপুর অঞ্চলে বেশ কয়েকটি (Waqf Protest) গাড়ি থামিয়ে দেয় পুলিশ। আইএসএফ কর্মীদের দাবি, তাঁরা কলকাতার রামলীলা ময়দানে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আয়োজিত প্রতিবাদে যোগ দিতেই যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ভাঙড়, মিনাখাঁ ও সন্দেশখালির বহু সমর্থক। তবে পুলিশ তাঁদের পথ আটকে দিলে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি (Waqf Protest)
অপরদিকে, ভোজেরহাট তিন রাস্তার মোড় ঘিরে দেওয়া হয় (Waqf Protest) গার্ডরেল দিয়ে। সেখানেও বাধা পেয়ে আইএসএফ কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তির পাশাপাশি, কিছু বিক্ষোভকারী গার্ডরেল ভাঙারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে, রাস্তা অবরোধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।
তীব্র যানজটের সৃষ্টি
এই অবরোধের ফলে বাসন্তী হাইওয়েতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ মাইকিং করে বারবার অনুরোধ জানালেও আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছাড়েননি বলে জানা যাচ্ছে।
প্রতিবাদে আগেই উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদ
ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আগেই উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদ, ধুলিয়ান ও সুতি এলাকা। সেখানেও সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর, এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই দাবিতে কলকাতাতেও মিছিল করেছে একাধিক সংগঠন। ভাঙড়ের ঘটনার পর স্পষ্ট, এই প্রতিবাদ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে নতুন জেলায় এবং নতুন মাত্রা নিচ্ছে।
সম্পত্তি অধিকার হরণের হাতিয়ার
আইএসএফের দাবি, নয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংখ্যালঘু সম্পত্তি অধিকার হরণের হাতিয়ার। তাই যতদিন না এই আইন প্রত্যাহার হচ্ছে, ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন—আন্দোলনকারীদের পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: Murshidabad Situation: মুর্শিদাবাদে রাতভর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল, ছন্দে ফিরছে কী?
এখন দেখার, প্রশাসন কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং এই আন্দোলন কোন দিশায় যায়। তবে এ কথা স্পষ্ট, ওয়াকফ আইন নিয়ে রাজ্যে উত্তেজনা এখনও থামার নয়।
