ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: তুমুল বৃষ্টিতে জলে থৈথৈ সোনামুখী হাসপাতাল। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী শহরে প্রবল বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন (Waterlogged) হয়ে পড়ে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতাল। আউটডোর থেকে ইনডোর, হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে হাঁটু সমান জল। রোগীরা চেয়ারে পা তুলে বসে রয়েছেন, জলেই ভাসছে ওষুধের প্যাকেট—এই দৃশ্যই দেখা গেল রোগীদের আত্মীয়দের মোবাইল ক্যামেরায়।
ভিডিও এবং ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন—একটি সরকারি হাসপাতালের এই রকম পরিকাঠামো কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
রোগী ও আত্মীয়দের ক্ষোভ—’ড্রেনেজ সংস্কার হয় না’ (Waterlogged)
স্থানীয় বাসিন্দা ও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, এই ঘটনা নতুন নয়। বর্ষা এলেই সোনামুখী হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাসপাতালের আশেপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বেহাল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। ফলে একটু বেশি বৃষ্টিতেই এমন জল জমে যায়।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: আকাশে মেঘের ঘনঘটা, কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?
একজন রোগীর আত্মীয় বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে জল কচুরিপানা মতো ভেসে বেড়াচ্ছে ওষুধ! এটা কী ধরনের পরিষেবা?”

বেহাল পরিকাঠামোতে চিকিৎসকরাও সমস্যায় (Waterlogged)
শুধু রোগীই নয়, চিকিৎসকরাও সমস্যার সম্মুখীন। অভিযোগ, ডাক্তাররাও পা তুলে চেয়ারে বসে চিকিৎসা করছেন। একাধিক চেম্বারে জল ঢুকে যাওয়ায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে (Waterlogged)। এমন অবস্থায় কীভাবে জরুরি পরিষেবা চালু রাখা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ (Waterlogged)
ঘটনার বিষয়ে সোনামুখী হাসপাতালের বিএমওএইচ (BM&OH)-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এই নীরবতা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে—একটি এত বড় সমস্যার সময়েও কেন মুখ খুলছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?
সোনামুখী ব্লকের একমাত্র গ্রামীণ হাসপাতাল বিপর্যস্ত (Waterlogged)
প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। সোনামুখী ব্লকের অন্তর্গত দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং আশেপাশের বহু এলাকা নির্ভর করে এই হাসপাতালের উপর। সেই হাসপাতালে যদি এই রকম দুরবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?