ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা (WB Teacher’s Holiday) দেখা সংক্রান্ত কাজের জন্য অনেক শিক্ষক ‘অন ডিউটি’ থাকায় স্কুলের পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, একসঙ্গে অনেক শিক্ষক এই ছুটি নিয়ে নিলে ক্লাস পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তাই পরীক্ষকদের জন্য ছুটি দেওয়া উচিত। তবে এই পরিস্থিতি অনেক স্কুলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।
কী জানালো পর্ষদ? (WB Teacher’s Holiday)
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য এক পরীক্ষক সর্বাধিক (WB Teacher’s Holiday) তিন দিন ‘অন ডিউটি’ ছুটি পাবেন। প্রধান পরীক্ষকরা পাবেন সর্বাধিক ১৩ দিন, এবং স্ক্রুটিনিয়রেরা ৫ দিন। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষকদের জন্যও একই নিয়ম প্রয়োগ হয়েছে। তবে এই ছুটির ব্যবস্থার ফলে অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে।
পঠনপাঠনে সমস্যা (WB Teacher’s Holiday)
‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক (WB Teacher’s Holiday) চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, এক স্কুলে যদি ১৫ জন শিক্ষক থাকেন এবং তাদের মধ্যে ১০ জন অন ডিউটি ছুটি নেন, তাহলে সেই দিনে স্কুলে কার্যত ক্লাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা আনতে বা ফেরত দিতে গিয়ে একসঙ্গে ছুটি নিচ্ছেন, যা পঠনপাঠনে সমস্যার সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: Most Polluted City: বায়ুদূষণে সব থেকে বেশি দূষিত কোন শহর?
নেই শিক্ষক নিয়োগ
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার কারণে অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষকের অভাব রয়েছে। ফলে শিক্ষকরা যখনই অন ডিউটি ছুটি নেন, তখন স্কুলের দৈনন্দিন কাজ চলানো কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষকের অভিযোগ, তারা প্রধান পরীক্ষকের কাছে খাতা নিতে গিয়ে স্কুল চলাকালীন ‘অন ডিউটি’ ছুটি নিচ্ছেন, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও বাধা সৃষ্টি করছে।
অন ডিউটি স্লিপের অপব্যবহার?
‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেছেন, অন ডিউটি স্লিপের অপব্যবহারের ফলে স্কুলের পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি এই ব্যাপারে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠি দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন, প্রধান পরীক্ষকরা ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখুন।
প্রতি বছর একই সমস্যা!
শিক্ষকরা মনে করেন, প্রতি বছর এই সমস্যা দেখা দেয় এবং স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর। শিক্ষকের অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ছুটির দিনেই কাজ?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শিক্ষকরা স্কুল চলাকালীন খাতা আনা বা দেওয়ার কাজ না করে ছুটির দিনে তা সম্পন্ন করবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এতে ক্লাসের স্বাভাবিক নিয়ম বজায় থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনও বিঘ্ন ঘটবে না।