Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্ষা বিদায়ের মুখে শরতের (WB Weather Update) আগমন হলেও, রাজ্যের আকাশ এখনও মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টির ছন্দে বাঁধা পড়েছে পুজোর প্রস্তুতি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে টানা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, দক্ষিণবঙ্গেও মিলবে না পুরোপুরি স্বস্তি-চলবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। সেই তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না কলকাতাও।
বৃষ্টির দাপট বাড়বে? (WB Weather Update)
গত কয়েক দিনে শহর কলকাতার আকাশে রোদের (WB Weather Update) দাপট কিছুটা বেড়েছিল। ফলে তাপমাত্রা যেমন বেড়েছে, তেমনি ঘাম এবং অস্বস্তিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাস পেয়ে অনেকেই ভাবছেন-আবার কি ফিরে আসছে বৃষ্টির সেই পুরনো ছবি?
ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা! (WB Weather Update)
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে (WB Weather Update) তেমন কোনও বড় ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। এই দুই দিন দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই বিশেষ আবহাওয়া সতর্কতা জারি হয়নি। তবে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাস মিলেছে।
জারি কমলা সতর্কতা
কলকাতার জন্যও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শহরে শুরু হতে পারে বৃষ্টি, যা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। হাওয়া অফিস হলুদ সতর্কতা জারি করেছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য। এই বৃষ্টিপাত বিশেষত অফিসযাত্রী ও পুজোর কেনাকাটায় বেরোনো মানুষের জন্য কিছুটা ভোগান্তির কারণ হতে পারে।
ভূমিধসের আশঙ্কা
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ছবিটা আরও স্পষ্ট। জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও কোচবিহারে আগামী সপ্তাহ জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে, আর জলপাইগুড়িতে তা থাকতে পারে শনিবার পর্যন্ত। পাহাড়ি এলাকায় এমন বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: Lunar Eclipse: ভারতে দেখা যাবে বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ, সূতকে কী করবেন, কী নয়?
আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে এই মুহূর্তে কোনও নিম্নচাপ না থাকলেও সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। বর্ষা শেষের মুখে থাকলেও সাগরের দিক থেকে স্থলভাগে ক্রমাগত জলীয় বাষ্প ঢুকছে, যার ফলে তৈরি হচ্ছে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি।