ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিনের মাথায় (Operation Sindoor) পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পঞ্জাব প্রদেশের ন’টি জঙ্গি ডেরায় ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির কথা প্রকাশ্যে কবুল করছে ইসলামাবাদ। পাক সংবাদমাধ্যমেও উঠে আসছে ‘আকস্মিকতা এবং ভয়াবহতা’র খণ্ডচিত্র। বালাকোট কাণ্ডের পরে নয়াদিল্লির সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যেও উঠে এসেছে পাকিস্তানের মাটিতে নিখুঁত নিশানায় ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যাঘাতের কথা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, দূরপাল্লা ও নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে সক্ষম সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্যাল্প (SCALP) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, হাই প্রিসিশন বোমা হ্যামার (HAMMER) ও কামিকাজ ড্রোন।
১০-১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে (Operation Sindoor)
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান প্রকাশ করে জানিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের একটি এলাকায় অন্তত ১০-১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে (Operation Sindoor)। মুজফ্ফরাবাদের উপকণ্ঠে নীলম রোড এলাকার বাসিন্দা আহমেদ আব্বাসি বলেছেন, ‘‘গভীর রাতে অন্তত ১০-১৫টা ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ল বায়াত-উল-মুজাহিদিনে।’’ ওই বায়াত-উল-মুজাহিদিন মাদ্রাসা আদতে লশকরের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র-রসদ সরবরাহে ব্যবহৃত সওয়াই নালা ক্যাম্প বলে ভারতীয় সেনার দাবি। আব্বাসি এবং তাঁর পড়শিরা জানিয়েছেন, আবার হামলার আশঙ্কায় তাঁরা আতঙ্কিত। চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আরও ২৬টি রাফাল কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে মোদি সরকার।
কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত (Operation Sindoor)
ভারত এই সামরিক অভিযানে উচ্চ এবং দীর্ঘ পাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল, হেমার বোমা এবং লোইটারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন) (Operation Sindoor)।
স্কাল্প : এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ মিসাইল, যেটি ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে। এটি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই মিসাইলটি মূলত বাংকার, সামরিক ঘাঁটি ও সুরক্ষিত অবকাঠামো ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন: SCALP Missile : ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ আঘাত হানে ঘাতক মিসাইল SCALP! কতটা ভয়ঙ্কর মিসাইল?
হেমার একটি স্মার্ট বোমা
হেমার : এই অস্ত্র হলো একটি স্মার্ট বোমা, যা নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বিশেষভাবে শক্তিশালী অবকাঠামো- যেমন কংক্রিটে নির্মিত বাংকার এবং বহুতল ভবন ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়। এই বোমা ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

‘কামিকাজি ড্রোন’ নামে অভিহিত
লোইটারিং মিউনিশন : এই অস্ত্রকে প্রায়ই ‘কামিকাজি ড্রোন’ নামে অভিহিত করা হয়। এটি নজরদারি, লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণ এবং চূড়ান্ত আঘাত হানার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ড্রোনগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় বাতাসে ঘোরাফেরা করতে পারে এবং লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্তের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অথবা দূরনিয়ন্ত্রিতভাবে হামলা চালিয়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে। এই অস্ত্রের বিশেষত্ব হলো- একবার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা হলে, এরা সরাসরি নিজেদের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আঘাত হানে, ফলে এগুলোর পুনঃব্যবহার সম্ভব নয়।
