ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চরম গরমে পুড়ছে চামড়া। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে। এপ্রিল মাসে মোটামুটি আরামদায়ক আবহাওয়াই ছিল। গরমের তেজ ততটাও বুঝতে পারেনি বঙ্গবাসী। তবে এপ্রিল মাসে গরম তেমন না থাকলেও মে মাসের শুরু থেকেই একাধিক অঞ্চলে গরমের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। বাইরে বেরলেই রোদে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হাতে ছাতা আর রোদ চশমা ছাড়া বেরনো দায়। বাইরে একবার বেরলেই কার্যত জ্বলে যাচ্ছেন সকলে। এই আবহের মধ্যেও দুঃখের খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর(Weather Update)।
দক্ষিণবঙ্গের ছ’জেলায় তাপপ্রবাহ, সতর্কতা জারি(Weather Update)
আলিপুর আবহাওয়া(Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গরমের মধ্যে তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে, যা আরও ভোগান্তি বাড়াবে। দক্ষিণবঙ্গের ছ’টি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে তীব্র গরম বজায় থাকবে। এছাড়াও হাওড়া-কলকাতাতেও গরম অস্বস্তি বজায় থাকবে।

উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা(Weather Update)
উত্তরবঙ্গের জন্য খানিকটা স্বস্তির খবর রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া(Weather Update) সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং মেখলিগঞ্জে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই তিন অঞ্চলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, কারণ সেখানে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে তীব্র হাওয়া। অন্যান্য উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা বৃষ্টির প্রবণতা এবং কিছু এলাকায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

আরও পড়ুন: Blue Line Metro: সপ্তাহের প্রথম দিনেই কম চলবে মেট্রো! বুদ্ধপূর্ণিমায় ব্লু লাইনে সময়সূচী পরিবর্তন
দক্ষিণবঙ্গের গরমের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিবেশ
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবন অতিরিক্ত অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। গরমের ফলে ঘর থেকে বের হওয়া অনেকেই বিরক্ত হয়ে পড়েছেন, এবং স্বাস্থ্য সমস্যার আশঙ্কাও বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে, যেমন— প্রচুর জল পান করা, ছাতা ও রোদ চশমা ব্যবহার করা, এবং দিনের প্রচণ্ড গরমের সময়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তাপমাত্রা আরও বাড়বে, প্রস্তুত থাকতে হবে
আবহাওয়ার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এই গরম আরও তীব্র হতে পারে। অতিরিক্ত গরমের কারণে কোনো ধরনের স্বস্তি মিলবে না, তবে উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চল বৃষ্টির কারণে কমফোর্টেবল থাকবে।