ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গ্রীষ্মের তাপমাত্রা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ চাহিদাও বাড়ছে। গতকাল, ২৪ এপ্রিল রাত ১১ টায় রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অধীনস্থ অঞ্চলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১০,০৯০ মেগাওয়াট (Electricity Demand)। এর আগের বছর, ২০২৩ সালের ১৬ জুন, রাজ্যে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ১০,৫০৭ মেগাওয়াটে, যা ছিল স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সর্বকালের রেকর্ড। তবে এবছর এপ্রিলেই সেই চাহিদা ১০ হাজার মেগাওয়াটের গণ্ডি পার করল, যা নতুন চ্যালেঞ্জের দিকে ইঙ্গিত করছে।
দফায় দফায় বৈঠকে বিদ্যুৎমন্ত্রী (Electricity Demand)
এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা রাজ্য সরকারের কাছে একটি বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের নিরবচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করতে এবং চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বজায় রাখতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে (Electricity Demand)। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তত দু’বার বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব এবং শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদ্যুতের সরবরাহে কোনও ঘাটতি না ঘটে এবং গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
এদিকে, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা জানাচ্ছে, রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থাও বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে (Electricity Demand)। তবে, গ্রীষ্মকাল যত বাড়বে, ততই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার উপর চাপ বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে শহর ও শহরতলি এলাকার মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পার্থক্য দেখা দেবে।

বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, গ্রীষ্মের দিনগুলোতে চাহিদা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বাড়ে, বিশেষত তখন যখন মিথেন গ্যাসের মতো দাহ্য পদার্থের সৃষ্টি হতে পারে (Electricity Demand)। তাই বিদ্যুৎ দফতর থেকে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বজায় রাখতে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Teachers Protest: স্কুলে ফিরলে বঞ্চিতদের লড়াই জারি, বিকাশ ভবন অভিযানের প্রস্তুতি
এদিকে, কলকাতা সহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বিদ্যুৎ বিপর্যয় রোধে গত বছর থেকে নেওয়া পদক্ষেপগুলির ফলে কিছুটা আশ্বস্ত হলেও, রাজ্যের বৈদ্যুতিক অবকাঠামোর উন্নতির জন্য আরও বড় পদক্ষেপ প্রয়োজন (Electricity Demand)। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও রকম শিথিলতা না দেখানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এছাড়াও, রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের চাহিদা পূরণের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দেওয়ার।