ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চার বছরের ব্যবধানে ফের হোয়াইট হাউসের মসনদে বসতে চলেছেন তিনি। ট্রাম্পের জয়ের খবর আসার পরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার গভীর রাতে ট্রাম্পকে সন্তপর্নে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। গভীর রাতে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা জানানো নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তাহলে কি কৌশলে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সতর্কতা বজায় রাখতে চাইছে চিন! সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সময় বলবে।
সূত্রের খবর, বুধবার গভীর রাতে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে ফোন করেন বলে একদলীয় চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রে জানানো হয়েছে। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে ভূ-রাজনৈতিক খেলার প্রথম রাউন্ডে পরিস্থিতি ভারতের পক্ষে বেশ অনুকূল। যদিও লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-তে সংঘাতের ইতি টানতে ভারত-চিন সমঝোতা আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট কী ভাবে দেখবেন, তা নিয়ে কিছুটা অবশ্য কিছুটা সংশয় রয়েছে সাউথ ব্লকের অন্দরে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/donald-trump-in-the-white-house-for-the-second-time/
ট্রাম্পের বিদেশনীতি দক্ষিণ এশিয়ার সমীকরণ কতটা বদলে দেবে তা নিয়ে বুধবার থেকেই হিসেব শুরু হয়েছে। গোটা নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প একাধিক বার খোঁচা দিয়েছেন চিনকে। ট্রাম্প শিবির বার বার দাবি করেছে, দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকাকে ‘পুঁজি করে’ বেজিং নিজেদের ভাঁড়ার ভর্তি করেছে। তাদের বক্তব্য, আমেরিকায় উৎপাদন শিল্প ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়েছে, তখন এই ক্ষেত্রে নিজেদের সমৃদ্ধ করে গিয়েছে চিন।
বস্তুত, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রথম ইনিংসেও আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের দাপাদাপি রুখতে ‘অতিরিক্ত শুল্ক’ (অ্যান্টি ডাম্পিং) ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ হয়েছিল। তবে এখন দেখার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর ট্রাম্পের বিদেশনীতি কোনদিকে যায়।