ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্যতালিকায় কম শর্করা এবং বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার (Flour Benefits) থাকা উচিত। তাই ময়দার বিকল্প হিসেবে ফাইবার যুক্ত আটা খাওয়াটাই ভালো। এর ফলে যেমন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়, তেমনই বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি শরীরে প্রবেশ করে। কেবল ডায়াবেটিক রোগী বলে নয়, প্রতিটা ব্যক্তিরই ময়দা ত্যাগ করে আটার রুটি, লুচি বা পরোটা খাওয়াটা বেশি উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য এ কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা। জেনে নিন শরীর সুস্থ রাখতে কী ধরণের আটা খাবেন।
আটা (Flour Benefits)
গ্লুটেন-মুক্ত না হলেও পরিশোধিত সাদা আটা বা ময়দার চেয়ে এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর (Flour Benefits)। ময়দার তুলনায় আটায় ফাইবার এবং পুষ্টিগুণ বেশি। এর গ্লাইসেমিক সূচক পরিশোধিত আটার তুলনায় কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা আরও কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আটা ভিটামিন বি, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস।

বেসন (Flour Benefits)
বেসন বা ছোলার আটা বহু ভারতীয়েরই প্রধান খাদ্য (Flour Benefits)। ছোলার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি এই আটা প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এর গ্লাইসেমিক সূচক কম। ময়দার বদলে ডায়াবেটিক রোগীরা বেসন বেছে নিতে পারেন। বেসনে থাকা ফাইবার উপাদান হজম প্রক্রিয়ার গতি ধীর করতে সাহায্য করে, ফলে রক্তে দ্রুত শর্করার বৃদ্ধি রোধ হয়।

আরও পড়ুন: Ajwain Benefits: রোজ জোয়ান খাওয়ার অভ্যেস? জানুন এর উপকারিতা
ওটসের আটা
ওটস মিহি করে গুঁড়ো করে তার আটা তৈরি করা হয়। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প। ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার বিশেষ করে বিটা-গ্লুকান থাকে। এর প্রভাবে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। ওটসের আটার গ্লাইসেমিক সূচক মাঝারি। ফলে এটি ডায়াবিটিস-বান্ধব খাদ্য উপাদান।

জোয়ারের আটা
জোয়ার আমাদের দেশের একটি প্রাচীন শস্য। গ্লাইসেমিক সূচক কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় এটিও ডায়াবিটিস-বান্ধব। জোয়ারের আটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। জোয়ারের ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করে।

আরও পড়ুন: Tulsi Tea Benefits: ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়ায় নিয়মিত সঙ্গী হোক তুলসী চা
রাগির আটা
ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ রাগির আটা অত্যন্তু পুষ্টিকর। এই আটারও গ্লাইসেমিক সূচক কম, যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। এর উচ্চ ফাইবার উপাদান গ্লুকোজ শোষণের গতি ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, রাগিতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড সামগ্রিক স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

মেথির আটা
মেথি বীজ গুঁড়ো করে তৈরি করা হয় মেথির আটা। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকায় ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এর ব্যবহার হয়ে আসছে সেই প্রাচীন যুগ থেকে। মেথিতে ট্রাইগোনেলিন নামক একটি প্রাকৃতিক যৌগ থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মেথি আটার উচ্চ ফাইবার ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি ভালো করে।