ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘আমিও ভুক্তভোগী।’ রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পাশে উপরাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি না থাকা নিয়ে ক্ষেদ প্রকাশ করলেন খোদ দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Vice President)। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রোটোকল মানা নিয়ে দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের একটি মন্তব্য তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে জানালেন, তাঁর উত্তরসূরির ছবি যাতে থাকে, সেই ব্যবস্থা করে যাবেন তিনি।
উপরাষ্ট্রপতির আক্ষেপ (Vice President)
একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি প্রসঙ্গে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমলাতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমি বর্তমান প্রধান বিচারপতির কাছে বাধিত(Vice President)। প্রোটোকল মেনে চলা মৌলিক দায়িত্ব। দেশের প্রধান বিচারপতি ও প্রোটোকলের স্থান অনেক উঁচুতে। তিনি যখন এটা বলছেন, তখন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত নয়। তিনি যে পদে রয়েছেন, সেই পদের জন্য। আমি নিশ্চিত যে এটা সবাই মনে রাখবেন।’
উত্তরসূরির প্রতিকৃতি (Vice President)
প্রোটোকলে তিনিও যে ভুক্তভোগী সে কথা তুলে প্রকাশ্যে উপরাষ্ট্রপতি (Vice President)। তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ছবি অবশ্যই দেখেছেন। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি প্রতিকৃতি দেখেননি। আমি যখন অফিস ছাড়ব, তখন এটা নিশ্চিত করব যে আমার উত্তরসূরির প্রতিকৃতি যেন থাকে।’
আরও পড়ুন- Indian Ambassador: ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও শেষ হয়নি!’ পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের
প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ (Vice President)
গত ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিআর গভাই (Vice President)। রবিবার মুম্বইয়ে মহারাষ্ট্র ও গোয়ার বার কাউন্সিলের তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতিকে মুম্বইয়ে স্বাগত জানাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিব, ডিজিপি কিংবা মুম্বই পুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন না। প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবার মহারাষ্ট্রে সফরে গিয়ে এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর প্রধান বিচারপতি দাদরে বিআর আম্বেদকরের সমাধিস্থল চৈত্যভূমিতে গেলে তিনজনই উপস্থিত ছিলেন।
৫২তম প্রধান বিচারপতি
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ৫২তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছেন ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই)। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক ঐতিহাসিক মামলার রায়ে যুক্ত ছিলেন বিচারপতি গাভাই। ২০১৬ সালে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত বহাল রাখা থেকে নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার যে রায় আসে, তার অংশ ছিলেন তিনি। বুলডোজার শাসন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেয়, সেই বেঞ্চেও ছিলেন বিচারপতি গাভাই। রাতারাতি মহিলা, শিশু, বয়স্কদের রাস্তায় এনে দাঁড় করানো নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয় ওই মামলায়।