ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বরেলির মীরগঞ্জ এলাকায়। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শোনার পর অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন স্বামী। কর্মক্ষেত্র বাইরে হওয়ায় দিশেহারা হয়ে সেখান থেকে মোটরবাইক করে রওনা হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। হাইওয়ের উপর দুর্ঘটনায় তিনিও মারা গেলেন বলে জানা যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় ২৮। তাঁর ছোট ভাই বছর ২২-এর রিঙ্কুও গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ভাইকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা (Uttar Pradesh)
মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে মীরগঞ্জের (Uttar Pradesh) জাতীয় সড়কের উপরে। সঞ্জয়ের বাড়ি কাইজারগঞ্জ থানা এলাকার রামুয়াপুর রঘুবীর গ্রামে। তিনি ও তাঁর ভাই দুজনেই পাঞ্জাবে শ্রমিকের কাজ করেন। গতকাল সঞ্জয়ের কাছে স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছেছিল। তারপরই বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। রাতেই একটি বাইকে করে ভাইকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি।
রক্তাক্ত অবস্থায় দুজন রাস্তায় (Uttar Pradesh)
২৪ নম্বর হাইওয়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি এসে বাইকটিকে ধাক্কা মারে (Uttar Pradesh)। দ্রুতগতিতে থাকার কারণে বাইক নিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েন দুজনেই। স্থানীয়রা বিকট আওয়াজ শুনে অকুস্থলে ছুটে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা সঞ্জয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রিঙ্কু বরেলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: S Jaishankar: কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জকেও নিশানা জয়শঙ্করের
সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল পূজার
জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে পূজার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঞ্জয়ের। তাঁদের চার বছরের একটি মেয়েও আছে। সোমবার দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল পূজার। এই জন্য আনন্দের পরিবেশ ছিল তাঁদের বাড়িতে। বারাইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়েই মারা যান পূজা। এই খবর পাওয়ার পরেই দ্রুত বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন সঞ্জয়। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়ছে যে গাড়িটি ওই মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে তার খোঁজ করা হচ্ছে।
স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ির পথে রওনা
পুলিশ সুপার (উত্তর) মুকেশ চন্দ্র মিশ্র বলেন, “বাহরাইচের কাইজারগঞ্জ থানা এলাকার রামুয়াপুর রঘুবীর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় পাঞ্জাবে শ্রমিকের কাজ করতেন। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার ছোট ভাইয়ের সাথে বাড়ির পথে রওনা হন। দুর্ভাগ্যবশত, বরেলিতে তারা মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন।” তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা সঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করেন, আর রিঙ্কুর অবস্থা আশঙ্কাজনক… সঞ্জয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”