ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আদানি গ্রীন এনার্জি শ্রীলঙ্কায় ৪৪.২ কোটি মার্কিন ডলার (Wind Power Project Cancelled) বিনিয়োগে দুটি উইন্ড পাওয়ার প্রোজেক্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল। এই প্রকল্পগুলো মান্নার এবং পুনেরিন এলাকায় গড়ে তোলার কথা ছিল এবং ৪৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আদানি গোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে যাতে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়।
‘২৪ এর চুক্তি (Wind Power Project Cancelled)
২০২৪ সালের মে মাসে তৎকালীন শ্রীলঙ্কা (Wind Power Project Cancelled) সরকারের সঙ্গে উইন্ড প্রোজেক্ট সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছিল, যেখানে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহের দায়িত্ব আদানি গ্রীন এনার্জির উপর দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের জন্য শ্রীলঙ্কাকে ০.০৮২৬ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭.১৮ টাকা) দিতে হতো।
ক্ষমতায় আসার পরেই বিপত্তি (Wind Power Project Cancelled)
তবে বর্তমান শ্রীলঙ্কা সরকারের ক্ষমতায় (Wind Power Project Cancelled) আসার পর থেকেই এই রেটে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তিটি খতিয়ে দেখা শুরু হয় এবং পারচেজ এগ্রিমেন্ট বাতিল করে দেওয়া হয়। সরকার ০.০৬ ডলারের কম মূল্যে বিদ্যুৎ কেনার জন্য আদানি গোষ্ঠীকে চাপ দিতে থাকে।
প্রোজেক্টের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী দল! (Wind Power Project Cancelled)
এদিকে, শ্রীলঙ্কার বিরোধী দল এবং পরিবেশবিদদের (Wind Power Project Cancelled) একাংশ এই প্রোজেক্টের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল, দাবি করে যে প্রকল্পটি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। বিদ্যুৎ মাশুল কমানোর আলোচনা যখন ফলপ্রসূ হয়নি, তখনই আদানি গ্রীন এনার্জি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।

আগেও ছিল জটিলতা
এই প্রথম নয়, এর আগে বাংলাদেশেও আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ মাশুল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। হাসিনার সরকার আমলে বাংলাদেশকে আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হয়, এই অভিযোগ সামনে আসার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বিপদে আদানি গোষ্ঠী!
শ্রীলঙ্কার প্রকল্পের বাতিল আদানি গোষ্ঠীর জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই ধরনের প্রোজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ হলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।