ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শীত আসে আর তার সঙ্গে আনে শুস্কতা। মাথার চুল হোক বা গোড়ালি শুস্কতা সব জায়গায়। ওই শুস্কতা শরীরে আনে অস্বস্তি। গোড়ালি, চুল, ঠোঁট ফেটে চৌচির। বাড়ে খুশকির প্রকোপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়মিত তেল(Winter Oil) ব্যবহারে হতে পারে এর সমাধান। সাধারণভাবে তিল, নারকেল, অলিভ তেল, নিম তেল শীতের শুস্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই তেল গুলি রুক্ষতাকে কমায়। ত্বকে আনে নতুন জীবন। আমাদের প্রতিদিনের এই চেনা তেল গুলি যে কত উপকারী চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অলিভ অয়েল (Winter Oil)
শীত বলতেই চোখের সামনে সবচেয়ে আগে আসে অলিভ অয়েল(Winter Oil)। অলিভ অয়েলে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি এজিং যা ত্বকের খেয়াল রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। কিউটিকল দূর করে নখের যত্ন নেওয়া যায়। তাই হোম ম্যানিকিওরে রাখা যেতে পারে অলিভ অয়েল। এই ময়েশ্চারাইজিং তেল নখের কোণে বা আশেপাশে লেগে থাকা খারাপ চামড়া অর্থাৎ পিলিং স্কিনগুলি দূর করতে পারে। স্নানের পর রোজ অলিভ অয়েল দিলে মালিশ করুন ত্বক।

নারকেল তেল (Winter Oil)
নারকেল তেলে(Winter Oil) থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে পারে। শুধু তাই নয়, স্কিন টোন ফিরিয়ে আনতেও সহায়তা করে। নারকেল তেল দিয়ে মাসাজ করলে ত্বকের উপর একটি আবরণ বা আস্তরণ তৈরি হয়। যা প্রোটেক্টিভ লেয়ার হিসাবে ত্বককে রক্ষা করে ধুলোবালি, নোংরা, ময়লা থেকে। বলিরেখার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি নারকেল তেল ত্বকের একদম গভীর স্তর পর্যন্ত প্রবেশ করে ময়শ্চার লক করে। ফলে শীতের রুক্ষ, শুষ্ক আবহাওয়াতেও ত্বক থাকে উজ্জ্বল এবং মোলায়েম। এছাড়াও সপ্তাহে একদিন মাথায় মালিশ করুন নারকেল তেল। এতে চুল ভালো থাকে।

আরও পড়ুন:Jaggery Benefits: গুড় খাচ্ছেন? ভেজাল না তো? ভেজালে শরীরের ক্ষতি, চিনুন আসল গুড়
তিল তেল
তিল তেল(Winter Oil) শরীরের বিভিন্ন প্রকার শূল ব্যথায় নিবারক। তিল তেল নিয়মিত মাখার অভ্যাস চর্ম, কেশ ও চোখের পক্ষে ভালো। বাতব্যাধি চিকিৎসায় ও পঞ্চকর্ম থেরাপিতে তিল তেলের বিকল্প নেই। তিলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা৩, ওমেগা৯-এর মতো কিছু যৌগ যা নতুন চুল গজাতে, চুলের প্রাকৃতিক রং ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে তিলের তেল মেখে রাখতে পারেন। চুল যদি খুব রুক্ষ হয় এবং ঠান্ডা লাগার ধাত না থাকে তা হলে এই তেল রাতেও মাথায় মেখে রাখতে পারেন।

ক্যাস্টর অয়েল
ছোট বাচ্চা, প্রসূতি,বয়স্ক ব্যক্তিদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় বিরেচন করাতে এরণ্ড তেলের জুড়ি মেলা ভার। কারণ দ্রব্যগুণে এটি মধুর, উষ্ণ, পিচ্ছিল গুণযুক্ত অগ্নি দীপনকারী তেল। পাশাপাশি এটি মলবদ্ধতা, বাতরক্ত, বিষমজ্বর নাশক। এক থেকে দুই চামচ ঈষৎ গরম জল বা দুধের সঙ্গে রাতে খাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন:Warm Water : সকালে খালি পেটে গরম জল খাওয়া উপকারীতা জানেন? জানলে চমকে যাবেন আপনি
নিমতেল
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, ক্ষত, দাঁতের রোগে, চুলের খুশকি ও উকুনের সমস্যায় নিম তেল উপকারী। ব্রণ ও ক্ষতের সমস্যায় সরাসরি এক থেকে দুই ফোঁটা নিম তেল আঙুলে করে ব্রণর উপর দিনে দুই থেকে তিনবার লাগিয়ে রাখুন। চুলের খুশকি ও উকুনের সমস্যায় শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নিমতেল মিশিয়ে নিয়মিত মাথায় ব্যবহার করলে ভালো। ত্বকের কালচে ভাব কাটাতেও নিমতেল উপযোগী।
