ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্তমানে বিশ্বজুড়ে (World War III) পরিস্থিতি ভীষণ উত্তপ্ত। বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়া ও ইউক্রেনের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও জটিল। একাধিক দেশ যুদ্ধ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে এবং এই পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর বেশি দূরে নেই।” সম্প্রতি মিয়ামিতে আয়োজিত এফআইআই প্রায়োরিটি সামিটে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের সংঘর্ষ (World War III)
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে চলমান সংঘর্ষের (World War III) প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি গুরুতর সমস্যা। যেভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে এবং জীবনহানি বাড়ছে, তা আমাদের আর চলতে দেওয়া যাবে না।” তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কারও কোনও লাভ নেই। ট্রাম্প আরও বলেন, যদি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আরও এক বছর ক্ষমতায় থাকত, তাহলে বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতির দিকে এগোতো।
বাইডেন প্রশাসনকে তীব্র কটাক্ষ (World War III)
তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি একদিকে (World War III) বাইডেন প্রশাসনের নীতির সমালোচনা করেছেন, অন্যদিকে নিজের প্রশাসনের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্প বলেন, “আমার প্রশাসন সবরকমের চেষ্টা করবে যুদ্ধ রোধে।” তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, যুদ্ধের ফলে শুধুমাত্র ধ্বংস হয়, এবং তিনি কারও মৃত্যু দেখতে চান না।
যুদ্ধে নেই আমেরিকা
এদিকে, তিনি জানান যে, যদি পুনরায় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে আমেরিকা এতে অংশগ্রহণ করবে না। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি শান্তির জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি শীঘ্রই আন্তর্জাতিক সফরে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যাতে যুদ্ধবিরোধী আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা যায়।

সংঘাত সমাধানের কাজ করবে ট্রাম্প
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থানও উল্লেখযোগ্য। তিনি জানান, এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত সমাধানের জন্য তাঁর প্রশাসন কাজ করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আশ্বাস বিভিন্ন দেশে শান্তির আশা জাগিয়েছে, তবে বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল, তা অস্বীকার করা যায় না।
শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে ট্রাম্প?
এখন প্রশ্ন হল, ট্রাম্পের এই বক্তব্য কি সত্যিই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে? নাকি এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে থেকে যাবে? উত্তর খুঁজে বের করতে হলে বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি নজরে রাখতে হবে।